মাহে রমজানের সওগাত

মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী | সোমবার , ৩ মে, ২০২১ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

আজ ২০ রমজান। কোনো রোজাদার মুসলমানের ইতিকাফ করার ইচ্ছে হলে আজ সূর্যাস্তের পূর্বেই মসজিদে অবস্থান গ্রহণ করতে হবে এবং ঈদের চাঁদ দেখা পর্যন্ত তাঁকে মসজিদেই থাকতে হবে। রমজান মাসের শেষ দশদিন ইতিকাফ করা সুন্নাতে মোয়াক্বাদায়ে কেফায়াহ। মহল্লার একজন ইতিকাফ করলেও সকলের পক্ষ হতে আদায় হয়ে যাবে। যদি কেহই ইতিকাফ না করে সকলেই গুণাহগার হবে। মহানবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসের শেষ দশদিন মসজিদে ইতিকাফ করতেন। যে কোনো মসজিদে পুরুষেরা ইতিকাফ করবে। মহিলারা গৃহে ইবাদতের স্থান তৈরি করে ইতিকাফ করবে। কোনো অসুস্থ ব্যক্তি অথবা মুসাফির রোজা না রেখে এই দশদিন ইতিকাফ করলে সুন্নাতে মোয়াক্বাদাহ আদায় হবে না বরং নফলের সওয়াব পাবে। ইতিকাফকারীর পায়খানা, প্রস্রাব, অজু ও গোসলের সময় ব্যতীত মসজিদ হতে বের হওয়া নিষেধ। প্রয়োজনের সময় বের হলে কারো সাথে কোনো কথা বলতে পারবে না। কাজ সমাধা করে তাড়াতাড়ি মসজিদে ঢুকতে হবে। বিনা কারণে এক মিনিট মসজিদের বাইরে থাকলে ইতিকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে। ইতিকাফ অবস্থায় কারো সাথে অপ্রয়োজনীয় গল্পালাপ করা যাবে না। আবার ইতিকাফের নিয়তে চুপ করে থাকাও মাকরূহ। ইতিকাফ অবস্থায় কোরআন শরীফ তেলাওয়াত, দোয়া, দরূদ, এস্তেগফার, তসবিহ, তাহলিল, নফল ইবাদত, মোরাকাবা ইত্যাদিতে নিয়োজিত থাকা উচিত। ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদে খাওয়া দাওয়া করবে। বাইরে খাওয়া দাওয়া করলে ইতিকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে। দুই ঘণ্টার জন্যও মসজিদে ইতিকাফ করা যায় এবং সওয়াবের কাজ। কিন্তু সুন্নাতে মোয়াক্বাদায়ে কিফায়াহ আদায় হবে না। বিভিন্ন হাদিসে রমজান মাসের একুশ, তেইশ, পঁচিশ, সাতাশ ও ঊনত্রিশ তারিখের যে কোনো একরাত্রি শবে কদর হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। তাই এ বিশেষ রাতগুলোতে ইতিকাফকারীদের অতিশয় মনোযোগ সহকারে ইবাদত করা উচিত।
উম্মুল মোমেনিন হযরত আয়শা সিদ্দিকা (রাঃ) বলেছেন, ইতিকাফকারীর পক্ষে এই নিয়ত পালন করা আবশ্যক (১) সে যেন কোনো পীড়িতকে দেখতে না যায়, (২) কোনো জানাজায় উপস্থিত না হয়, (৩) স্ত্রী সহবাস না করে, (৪) স্ত্রীর সঙ্গে ঘেঁষাঘেষি না করে, (৫) কোনো প্রয়োজন ব্যতীত ইতিকাফের স্থান থেকে বের না হয় ইত্যাদি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রথমদিন চট্টগ্রামে ২২ হাজার পরিবার পেলো প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার
পরবর্তী নিবন্ধসময় এখন সাবধানতার