প্রথমদিন চট্টগ্রামে ২২ হাজার পরিবার পেলো প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার

বাকিরা পাবে আগামী তিনদিনের মধ্যে

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৩ মে, ২০২১ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে চট্টগ্রাম, জয়পুরহাট ও ভোলা জেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। চট্টগ্রাম জেলার এ প্রান্তে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চট্টগ্রামের ১০ জন উপকারভোগী উপস্থিত থেকে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে প্রাপ্ত সুবিধার কথা জানান প্রধানমন্ত্রীকে। চট্টগ্রামে ৯৯ হাজার ৯৭৭ পরিবার ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পেতে যাচ্ছে। গতকাল উদ্বোধনী দিনে প্রথম পর্যায়ে চট্টগ্রামের ২২ হাজার পরিবার প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ২৫০০ টাকা করে পেয়েছে। বাকি পরিবারগুলো পর্যায়ক্রমে আগামী ৩ দিনের মধ্যে উপহার হিসেবে দেয়া এ অর্থ পাবে।
১৪ এপ্রিল হতে সামপ্রতিক লকডাউনে সাময়িক কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ যেমন পরিবহন শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা ভ্যান চালক, নির্মাণ শ্রমিক, চর্মকার, নরসুন্দর, হিজড়া, বেদে সমপ্রদায়, প্রতিবন্ধী ও বস্তিবাসী নিম্ন আয়ের ২৬ হাজার ৮০০ পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী চাল, ডাল, সয়াবিন তেল, চিনি, আলু, লবণ, সাবান ইত্যাদি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রামের সংসদ সদস্যগণ, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দও ত্রাণ কাজে সমানভাবে অংশগ্রহণ করছেন। নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত যে সব পরিবার প্রকাশ্যে ত্রাণ চাইতে কুণ্ঠাবোধ করবে তারা জেলা প্রশাসনে এসএমএস বা ফোন করলেও রাতের বেলায় বাড়ি গিয়ে এসব উপহার সামগ্রী-খাদ্য দ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন টিম।
লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের জন্য দিনরাত জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম কাজ করে যাচ্ছে এবং জনগণের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করছে। কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ কাজের জন্য জেলা প্রশাসন কন্ট্রোল রুম রাত দিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে বলে জানান জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, জেলা পুলিশ সুপার এস.এম রশিদুল হক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ, রাজনৈতিক-ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার উপকারভোগী লোকজন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনবজাতক বিক্রি, ফিরে পেতে ফের থানায় চুরির অভিযোগ!
পরবর্তী নিবন্ধমাহে রমজানের সওগাত