চট্টগ্রাম কাস্টমসে চলতি ২০২১-২০২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৬ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। যা গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ৫ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা বেশি। রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তবে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে আছে কাস্টমস। প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩০ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা। সেই হিসেবে রাজস্ব কম আদায় হয়েছে ৪ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা।
কাস্টমস কর্তারা বলছেন, করোনার পরিস্থিতির উন্নতির সাথে সামগ্রিক রাজস্ব আদায়ও বাড়ছে। এছাড়া কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার তৎপরতার কারণে মিথ্যা ঘোষণায় আটক চালান থেকে রাজস্ব আদায়ের হারও বাড়ছে। অন্যদিকে গত অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রকোপের প্রভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে। ফলে দেশীয় শিল্পের কাঁচামাল আমদানি আগের তুলনায় কমে যায়। তবে চলতি অর্থবছর সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে জুলাই থেকে গত ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩০ হাজার ৭৫৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অন্যদিকে এই সময়ে আদায় হয়েছে ২৬ হাজার ৫২০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
কাস্টমস কর্তারা জানান, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই মাসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৪ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা, আগস্ট মাসে ৫ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে ৪ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা, অক্টোবর মাসে ৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা, নভেম্বর মাসে ৬ হাজার ৩৭ কোটি টাকা, ডিসেম্বর মাসে ৫ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা, জানুয়ারি মাসে ৫ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে ৪ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা, মার্চ মাসে ৫ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা, এপ্রিল মাসে ৬ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা, মে মাসে ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা এবং জুন মাসে ৫ হাজার ১৩২ কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম দৈনিক আজাদীকে বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ে হার স্বাভাবিক রয়েছে। গত অর্থবছরে করোনা মহামারির কারণে আমদানি কমে যায়, এর প্রভাবে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন থেকে কিছুটা দূরে ছিল কাস্টমস। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও চট্টগ্রাম কাস্টমসের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৫০ হাজার কোটি টাকার মাইলফলক অর্জন করে। আশা করি রাজস্ব আদায়ের এই ধারা অব্যাহত থাকলে এ বছরও আরো বেশি রাজস্ব আদায় হবে।
