বিশ হাজার বইয়ের ‘শ্রেষ্ঠ আত্মীয়’

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

পাঠাগার হলো শ্রেষ্ঠ আত্মীয়; যার সাথে সবসময় ভালো সম্পর্ক থাকে। মানসিক উৎকর্ষ, কাজকর্মে স্বচ্ছতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা, উন্নত জীবনযাপন, সর্বোপরি নিজেকে জানার জন্য চাই পাঠাগার। কারণ পাঠাগারে বিন্যস্ত থাকে মানব সভ্যতার হাজার বছরের ইতিহাস। প্রাচীন শিলালিপি থেকে আধুনিক লিপির গ্রন্থিক স্থান পাঠাগার।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ্‌ মোহাম্মদ তানভীর সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্থাপন করেছেন সুবিশাল পাঠাগার। গতকাল পাঠাগারটি উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। উন্নত বিশ্বের সাথে তুলনা করে সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঠাগারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রায় ২০ হাজার বই সম্বলিত এই পাঠাগার ছাত্রছাত্রীদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে, বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির স্পিরিট ধারণ করে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের জন্য বই সংগ্রহ করা হয়েছে এই পাঠাগারে। তথ্য, তত্ত্ব, গবেষণা এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণে ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুত করতে এই পাঠাগার নজীরবিহীন ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, এই গ্রন্থাগার বিদ্যার্থীদের আজীবন জ্ঞানার্জনের দক্ষতাসমূহ গড়ে তুলবে এবং তাদের কল্পনা শক্তিকে উন্নত করবে, যাতে তারা দায়িত্বশীল নাগরিকের জীবন নির্বাহ করতে সক্ষম হয়।
পাঠাগার প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারণ হিসেবে সিএমপি কমিশনার বলেন, তক্ষশীলা কিংবা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমৃদ্ধ পাঠাগার ছিল। ভার্চুয়াল জগতের কৃত্রিম পরিবেশে অপ্রকৃত বাস্তবতার মাঝে আজ পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা ছাত্রছাত্রীদের মাঝে নতুনভাবে তুলে ধরতে সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে সমৃদ্ধ পাঠাগার। আমি মনে করি, জ্ঞানেন্দ্রিয় ও অন্তরেন্দ্রিয়ের মিলনের মাধ্যমে বই স্পর্শ করে যে পঠন-পাঠন হয়, তা স্থায়ী এবং গভীর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপি ক্ষমতায় যেতে চোরাগলির পথ খুঁজছে : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম কাস্টমসে রাজস্ব আদায়ে গতি