বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চোরাগলির পথ খুঁজছে : তথ্যমন্ত্রী

| বুধবার , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চোরাগলির পথ খুঁজছে। রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘সরকার ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছে’ এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। খবর বাসসের।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে না। এজন্য সবসময় তাদের ভোট থেকে পলায়নপর মনোবৃত্তি। বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, ২০১৮ সালে নির্বাচন থেকে পালাতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে অনেক নাটকীয়তার পরে আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। অপরদিকে আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের রায়ের ওপর বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ তার ইতিহাসে জনগণের রায় ব্যতিরেকে অন্য কোনোভাবে ক্ষমতায় যায়নি। আর বিএনপির ইতিহাস হচ্ছে চোরাপথে ক্ষমতায় যাওয়া।
বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতাদের জনগণের ওপর কোনো আস্থা নেই বিধায় সংলাপ নিয়ে তারা এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন, নির্বাচন নিয়েও অবান্তর কথা বলছেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, তারা যে জনগণ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে পারবে না, সেটি তারা জানেন। তাই এখন বিএনপি চোরাগলির পথ খুঁজছে, কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। কিন্তু চোরাগলির পথ দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার দিন বাংলাদেশে শেষ হয়ে গেছে।
এসময় কয়েকটি ছোট রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচনকালে দেশ পরিচালনার জন্য জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে, এ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনীতিতে পরিত্যক্তদের পুনর্বাসনের জন্য বিশেষ ধরনের সরকার গঠনের কোনো প্রয়োজন বা সুযোগ কোনোটাই নেই। বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের যারা জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তারা সবাই পরিত্যক্ত রাজনীতিবিদ। তারা একসময় অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ছিলেন, কিন্তু এখন রাজনীতিতে তারা পরিত্যক্ত। রাজনীতিতে পরিত্যক্তরা তাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে এ ধরনের প্রস্তাব দিচ্ছেন। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবে। এর বাইরে কোনো সুযোগ নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজ চট্টগ্রামে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধবিশ হাজার বইয়ের ‘শ্রেষ্ঠ আত্মীয়’