দেশে এলো আমিরাতে মৃত্যুবরণকারী ৩ প্রবাসীর মরদেহ

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২০ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৮:৫৬ অপরাহ্ণ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমায় একই বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী চন্দনাইশের গিয়াস উদ্দিনসহ ৩ প্রবাসীর মরদেহ চন্দনাইশ সমিতি ইউ.এ.ই’র সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ১২ দিনের মাথায় দেশে আনা হয়েছে।

গিয়াস উদ্দিন চন্দনাইশের হাশিমপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মুন্সিরপাড়া এলাকার আবুল হোসেন প্রকাশ কালু সওদাগরের পুত্র।

মারা যাওয়া অপর ২ প্রবাসী হলেন পটিয়া উপজেলার বাহুলি এলাকার মোহাম্মদ লোকমানের পুত্র মো. আমিরুল ইসলাম কাইয়ুম ও উত্তর শ্রীমাই এলাকার এলাকার আবদুল মাবুদের পুত্র রাকিব হাসান।

আজ মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় মারা যাওয়া ৩ প্রবাসীর মরদেহ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে সমিতির সভাপতি লায়ন নজরুল ইসলাম তালুকদার, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউল আলমসহ নেতৃবৃন্দ গ্রহণ করেন। পরে তাদের পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

তিন রেমিটেন্স যোদ্ধার মরদেহ দেশে আনার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছেন সমিতির সভাপতি লায়ন নজরুল ইসলাম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক কাজী মিজানুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জালাল চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন, মাসুদ রানা, কামাল উদ্দিন, মামুন জায়েদ, কামাল জায়েদ, মাহবুবুর রহমান, আবু তাহের, মোস্তাক আহমেদ, মাও. জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, ২০১৯ সালে চন্দনাইশ সমিতি ইউ.এ.ই প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রবাসে মৃত্যুবরণকারী ২২ জনের মরদেহ দেশে এনে পরিবারের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে এবং প্রতি পরিবারের নিকট আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমায় বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় একই সাথে মারা যায় চন্দনাইশের গিয়াস উদ্দিন, পটিয়ার আমিরুল ইসলাম কাইয়ুম ও মোহাম্মদ রাকিব। তারা তিনজনই বাংলাদেশী মালিকানাধীন একটি মুদি দোকানে চাকরি করতেন।

গিয়াস উদ্দিনের ছোট ভাই রাসেল জানান, তার বড় ভাই গিয়াস উদ্দিন গত দেড় বছর পূর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমান। সেখানে তিনি একটি মুদি দোকানে চাকরি করতেন। প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন দিনের কাজ শেষে রাতে বাসায় ঘুমাতে যান। ওই বাসায় গিয়াসের সাথে পটিয়া উপজেলার আরো ২ জন ছিল কিন্তু পরদিন সকালে তাদের দোকানের মালিক কাজে যাওয়ার জন্য ডাকতে আসলে বাসার ভেতর থেকে তাদের কোনো সাড়াশব্দ পাননি। পরে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হন।

ওইদিন রুমে বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটরের গ্যাসের বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় তারা মারা যেতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে আরব আমিরাত পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে নিজ নিজ এলাকায় তাদের দাফন সম্পন্ন হয় বলে জানায় সমিতির নেতৃবৃন্দ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ“এসব নিয়ে আমরা মোটেও আতঙ্কিত নই”
পরবর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে অটোরিকশাকে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১