সমুখে যে বিপুল আলো রয়েছে তার কতটুকু জানো?
তুমি তো শুধু শঙ্কিত কর ভয়ে মারো
মাছের পেছনে ছোটা কুমিরের মত;
আমি তখন দীর্ঘ পথ দৌড়ে পালাই মধ্যরাতে –
সকল তত্ত্ব ভুলে সর্বক্ষণ খুঁজো অন্ধকারের ব্যর্থ চরিত্র
হারিয়ে ফেলো প্রজ্ঞা –
রাত্রির রমনী হাত একবার স্পর্শ করে দেখো
ওষ্ঠ কেঁপে ওঠে কিনা?
আলো হলো যাপিত জীবনের পথিক, আর
কিছু অন্ধকার এনে দেয় ভরা নদীর পূর্ণতা
উপচে পড়া জলের ঢলে ভেসে যায় সকল অপূর্ণতা
অথচ; তুমি শুধু অন্ধকারের ব্যর্থ চরিত্রই খোঁজ
সরল বিশ্বাসে হৃদয়ের দরোজায় রাখো হাত
খুলে যাবে অকস্মাৎ!
দেখবে ভেতরে বসন্ত বাহিরে প্রস্ফুটিত পুষ্প
চাইলেই দু‘হাত ভরে তুলে নিতে পারো
বিকৃত বাসনা ত্যাগ করে;
চাতুর্যের আঘাতে আত্মার মৃত্যু হয়
বয়ে বেড়াতে হয় অবজ্ঞার বিনিদ্র চিৎকার
নির্মম রাত্রি যাপন –
সূর্যের মতো চোখ জাগ্রত করো
নিশ্চয়ই হৃদয়ে ধরা দিবে সোনালি বিশ্বাস –
অন্ধকারের আলোই সমুখকে করবে উজ্জ্বল
এবং তা নিশ্চিত!







