চট্টগ্রামে জেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে গতি এসেছে। দীর্ঘদিন মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর সাধারণ নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় পড়ে থাকলেও এগুলো সংশোধনের কোনো উদ্যোগ ছিলনা। প্রতিদিন জেলার দূর–দূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ; নারী–পুরুষ–বৃদ্ধ চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিসে তাদের এনআইডি সংশোধনের জন্য আসা–যাওয়া করতে থাকলেও তারা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। গত ডিসেম্বরে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুনী কবীর মাঠ কর্মকর্তাদের ৩০ জুনের মধ্যে সকল অনিষ্পন্ন অবস্থায় থাকা এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এরপর থেকে জেলা নির্বাচন অফিসগুলোতে এনআইডি সংশোধনে গতি ফিরে আসে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসে খবর নিয়ে জানা গেছে, শুধুমাত্র গত ডিসেম্বর মাসে সাড়ে ৩৬ হাজারের মত এনআইডি সংশোধনের আবেদন পেন্ডিং ছিল। যেগুলো দীর্ঘদিন আবেদন করার পরও সংশোধন করা হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি এই আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলে জেলা নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদ আজাদীকে বলেন, আমি যেদিন চট্টগ্রাম অফিসে যোগদান করি সেদিন দুই ক্যাটাগরিতে ৩৬ হাজার ৪৩৮টি এনআইডি সংশোধনের জন্য পেন্ডিং অবস্থায় ছিল। আমি রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে সংশোধনের এসব আবেদনের নিষ্পত্তি করেছি। কালকে মধ্যে (আজ ২৯ জুন রোববারের মধ্যে) একেবারে শূন্যের কোটায় চলে আসবে।
আমাদেরকে ৩০ জুনের মধ্যে এনআইডি সংশোধনে আবেদন নিষ্পত্তি করার জন্য সময় দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন এসব এনআইডি সংশোধনের আবেদন অনিষ্পন্ন ছিল। এতগুলো অনিষ্পন্ন এনআইডি সংশোধন করতে অমানবিক পরিশ্রম হয়েছে। এখন থেকে এনআইডি সংশোধনের আর কোনো আবেদন পেন্ডিং থাকবেনা উল্লেখ করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদ বলেন, আমি যতদিন আছি আবেদনের ৩দিনের মধ্যে সমাধান করবো।
এদিকে সারাদেশে মাঠ কর্মকর্তাদের দপ্তরে যত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে তাদেরকে ৩০ জুনের মধ্যেই এগুলো নিষ্পত্তির জন্য তাগাদা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুনী কবীর। তিনি বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। একদিকে আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে, অন্যদিকে নতুন আবেদনও পড়বে। আমরা চেষ্টা করছি, যেন কোনো আবেদন ঝুলে না থাকে।