খাগড়াছড়ি সদরে ৯ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি আমিনুল ইসলাম প্রকাশ আমিনকে (১৯) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ২ বছরের জেল দিয়েছে খাগড়াছড়ি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আজিজুল হক। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে খাগড়াছড়ি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক প্রধান আসামির অনুপস্থিতে এ রায় প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১০ জুন বাড়ির পাশে বেধে রাখা ছাগল আনতে গেলে প্রধান আসামি জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরদিন ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে প্রধান আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপর দুইজনকে সহায়তার অভিযোগে খাগড়াছড়ি থানায় মামলা রুজু করেন। খাগড়াছড়ি থানা পুলিশ মামলা তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ আগস্ট চার্জশিট দাখিল করে। প্রধান আসামির দোষ স্বীকারসহ ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় প্রধান করা হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মো. শাহজাহান এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের সময় মাইনর হিসেবে আসামির বিরুদ্ধে মামলা রুজু হলেও সাজার ক্ষেত্রে তা বিবেচনা করা হয়নি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পিপি এডভোকেট সৃজনী ত্রিপুরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, নারী শিশুর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্ছার থাকতে হবে।