মা, বহু বছরে পরে – মুক্ত হয়েছো শিকল– উড়ছে পাখা, তোমার জান্নাতে– এপারের দুর্গম পথে কত ব্যথা– কত না বলা কথা– কত না দেখার চোখ– কত হৃদয় ক্ষরণে –ভিজেছিল – এ জীবন দৌড়– মা মা মা– এ বিলাপ একান্ত আমার। এ চিৎকার তোমার জন্মজঠরের হাহাকার। আচ্ছা, মা বল তো–তুমি ছাড়া তোমার সন্তানের কী অস্তিত্ব? মা, জানো– গত কয়েকদিন যেন–কত শত মরুপ্রান্তর– শতশত ঝড়ের শব্দের মত বিঁধে যাচ্ছে– এ তামাম– মা মা মা। এখানে কিছু নেই, তুমি নাই কিছু নাই, মা – দেখ, গাছে বাতাস দুলছে, চমকাচ্ছে তোমার বাড়ির আঙিনা, কাঁপছে তোমার কদম ছোঁয়া মাটি
সেই সাথে তরতরিয়ে–ফুলে উঠছে–তোমার চির গন্তব্যে ফিরের যাওয়া পাল– সেখানে অঝোরে কাঁদছে–তোমার ছেঁড়া ধন–তোমারে সন্তান। মা মা মারে কই গেলে তোমারে পাব মা, কোথায় আস্তানা। মা – তোমার না ফেরার ঘুম যেন – আমার জন্য এক একটা কান্নার সানাই!