লোহাগাড়ার চুনতিতে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা দখল করে পাকাঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ইউনিয়নের নলবনিয়া রোসাইঙ্গাঘোনা এলাকায় সাতগড় বনবিটের আওতাধীন বনাঞ্চলে এই ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। জানা যায়, স্থানীয় জনৈক আবদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এই পাকাঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। যার ফলে পরিবেশে ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তির ভোগলিপ্সা ও বন রক্ষায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনাই বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ার প্রধান কারণ বলে মনে করছে স্থানীয়রা। গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পাকাঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। মজুদ রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রী। ইতোমধ্যে পাকাঘর নির্মাণের বেইজ ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে। পাশে রয়েছে জনৈক আবদুল্লাহর পুরাতন মাটির ঘর।
অভিযুক্ত আবদুল্লাহ জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবত সংরক্ষিত বনাঞ্চলের রোসাইঙ্গা ঘোনা এলাকায় বসবাস করে আসছেন। মাটির ঘর ঝরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় পাকাঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। নির্মাণাধীন পাকাঘরের জায়গা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বলে স্বীকার করেছেন। তবে পাশে তার খতিয়ানভুক্ত জায়গা রয়েছে বলে দাবি করছেন তিনি। চুনতি রেঞ্জের সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গায় পাকাঘর নির্মাণ করার ব্যাপারে অবগত নন। এই ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হবে। তাকে ম্যানেজ করে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গায় পাকাঘর নির্মাণের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেন তিনি। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, এই ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।