কবি মোহাম্মদ রফিকের চিরবিদায়

| সোমবার , ৭ আগস্ট, ২০২৩ at ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

যিনি নিজে লড়েছেন সব সময়, সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যার কবিতা দিয়েছে সাহস, সেই মোহাম্মদ রফিক আর নেই। ৯০ বছর বয়সে গতকাল রোববার তার জীবনাবসান ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তার অনুজ কবি ও ছাত্ররা। একুশে পদক জয়ী এই কবি দীর্ঘদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। খবর বিডিনিউজের।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সাহিত্যিক প্রশান্ত মৃধা বলেন, ‘উনার ছেলের কাছ থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমি মৃত্যুর খবরটি জেনেছি। সম্ভবত তার কিছু আগে উনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’ নিজের বাড়ি বাগেরহাটে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ঢাকায় আনার পথে মোহাম্মদ রফিকের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ফারজানা সিদ্দিকা রনি।

মোহাম্মদ রফিকের শৈশব কাটে বাগেরহাটে; ম্যাট্রিক পাস করে তিনি ঢাকায় আসেন, ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন ঢাকা কলেজ থেকে। বিএ পাসের পর ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রি নেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন রফিক, স্বাধীন বাংলা বেতারেও তিনি কাজ করেন। মননশীল আধুনিক কবি হিসাবে পরিচিত রফিক আলোচিত হয়ে আছেন গত শতকের আশির দশকে সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদের রিরাগভাজন হয়ে। এরশাদকে নিয়ে তিনি লিখেছিলেন ‘খোলা কবিতা’ নামে আলোড়ন তোলা কবিতা। মোহাম্মদ রফিকের প্রথম কাব্যগ্রন্থ বৈশাখী পূর্ণিমা প্রকাশিত হয় ১৯৭০ সালে। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছেধুলোর সংসারে এই মাটি, কীর্তিনাশা, কপিলা, স্বদেশী নিঃশ্বাস তুমিময়, মৎস্যগন্ধা, বিষখালী সন্ধ্যা, কালাপানি, নোনাঝাউ, ত্রয়ী, চিরহরিতের উপবাস। এছাড়া বেশ কিছু গদ্য ও আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থও লিখেছেন তিনি। মোহাম্মদ রফিক ২০১০ সালে ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদকে ভূষিত হন। তার আগে ১৯৮৬ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়া নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৃক্ষমেলায় ভেঙে পড়েছে গাছ
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে ৪০টি গ্রামে দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি