আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে মার্কিন গোয়েন্দা বিমান ফেলে দেবে উত্তর কোরিয়া

| মঙ্গলবার , ১১ জুলাই, ২০২৩ at ৭:০১ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের উস্কানিমূলক সামরিক পদক্ষেপ কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পিয়ংইয়ংয়ের। যুক্তরাষ্ট্র নজরদারি ফ্লাইট পরিচালনা করে তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়া, এ ধরনের ফ্লাইট গুলি করে ভূপাতিত করা হতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা। খবর বিডিনিউজের।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এর প্রকাশ করা একটি বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনামা এক মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উস্কানিমূলক সামরিক পদক্ষেপ কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক সংঘাতে নিয়ে যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার ওপর নজরদারির জন্য যুক্তরাষ্ট্র নজরদারি বিমান ও ড্রোন ব্যবহার করছে বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, কোরীয় উপদ্বীপের কাছে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠিয়ে ওয়াশিংটন উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে।

বিবৃতিতে ওই মুখপাত্র বলেছেন, কোরিয়ার পূর্বদিকের সাগরে মার্কিন বিমান বাহিনীর কৌশলগত নজরদারি বিমান ফেলে দেওয়ার মতো শোচনীয় দুর্ঘটনা ঘটবে না, তার বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিবৃতিতে এর আগে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে এবং উপকূলীয় জলসীমায় মার্কিন বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করার বা বাধা দেওয়ার যেসব ঘটনা ঘটিয়েছিল সেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার এসব বক্তব্যের বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন সামরিক বাহিনীর মন্তব্য চাওয়া হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ সত্য নয়। তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ নজরদারি বাহিনী কোরীয় উপদ্বীপের আশপাশে রুটিন অনুযায়ী নজরদারি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে এবং তারা দুই মিত্র মিলে উত্তর কোরিয়ার ওপর নজর রাখতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইউক্রেনের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে রাশিয়ার হামলায় নিহত ৪
পরবর্তী নিবন্ধওয়াগনার বিদ্রোহের পর পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রিগোজিন