পরাজয়ের ডাবল হ্যাটট্রিক মোহামেডানের

| সোমবার , ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ১১:১০ পূর্বাহ্ণ

হ্যাটট্রিক শব্দটা যেকোন ক্রীড়াবিদ কিংবা দলের কাছে অত্যন্ত গৌরবের। একজন ক্রীড়াবিদ সেই ফুটবলার কিংবা ক্রিকেটার কিংবা অন্য কোন ইভেন্টের হোকনা কেন হ্যাটট্রিক করতে পারাটা মহা গৌরবের তার জন্য। তেমনি যেকোন দল হ্যাটট্রিক শিরোপা জয় কিংবা ম্যাচ জয়ের গৌরবের জন্য অপেক্ষা করে বহুদিন। তবে চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ঐতিহ্যবাহি মোহামেডানের জণ্য হ্যাটট্রিকটা বোধ হয় বড়ই লজ্জার। তাও শুধু হ্যাটট্রিক নয় একেবারে ডাবল হ্যাটট্রিক। তবে সে ডাবল হ্যাটট্রিক মোটেও গৌরবের নয় মোহামেডানের জন্য। বরং বড়ই লজ্জার। কারণ লিগে পরাজয়ের ডাবল হ্যাটট্রিক করেছে দলটি।

গতকাল লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থার কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে মোহামেডান। এই লিগে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী এবং মোহামেডানের পথ চলা যেন একেবারেই বিপরীতমুখী। আবাহনী যেখানে টানা ছয়টি জয় তুলে নিয়ে শিরোপার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে মোহামেডান টানা ছয় ম্যাচে হেরে রেলিগেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে রেলিগেশন থেকে মোহামেডানকে রক্ষা করার কোন শক্তি বোধহয় আর নেই।

যদি গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা । তাই বলা যায়না শেষ পর্যন্ত কি হয়। গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্যাটেবলে একেবারে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে মোহামেডান। বন্দর দলের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। টসে জিতে ব্যাট করতে নামা মোহামেডান ব্যাটারদের শুরু থেকেই চেপে ধরে বন্দর দলের বোলাররা। ফলে ৭ রানে প্রথম উইকেট হারানো মোহামেডান ২৩ রানে হারায় ৫ উইকেট। আরো একটি চরম লজ্জার মধ্যে পড়তে যাচ্ছিল মোহামেডান। তবে সে লজ্জা থেকে রক্ষা পেয়েছে ফরহাদ হোসেনের কল্যানে। ষষ্ঠ উইকেটে ফরহাদ এবং শামীম মিয়ার ৩৮ রানের কল্যানে লজ্জা এড়ায় মোহামেডান। শেষ পর্যন্ত ১৩০ রান করে দলটি। ফরহাদ হোসেন করেন ৪৮ রান। শামীম মিয়া করেন ১৬ রান।

এছাড়া শেষ জুটিতে জলিলের ১৬ এবং উত্তমের ১০ রানের কল্যানে ১৩০ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান। বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন নিহাদুজ্জামান এবং আরিফ আহমেদ। ১৩১ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুন করেছিল । দুই ওপেনার নাজিম উদ্দিন সাব্বির এবং সাব্বির হোসেন যোগ করেন ৪১ রান। ২৮ বলে ৩২ রান করা সাব্বির হোসেনকে ফেরান শামীম মিয়া। এরপর নাজিম উদ্দিন এবং মামুন মিলে যোগ করেন আরো ৪৩ রান। ৩১ রান করা নাজিমকে ফিরিয়ে এজুটিও ভাঙ্গেন শামীম। এরপর ২৪ রান করা মামুনকেও ফেরান শামীম। তবে এরপর তারেক এবং রাসেল মিলে আর কোন সুযোগ দেননি মোহামেডানের বোলারদের। দুজন মিলে ২৮.৫ ওভারে জয় তুলে নেন। ২৩ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রাসেল। আর ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন তারেক কামাল। মোহামেডানের পক্ষে ৩টি উইকেটই নেন শামীম মিয়া। আজকের খেলা : মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র বনাম সিটি কর্পোরেশন একাদশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফতেয়াবাদ আলী আজগর চৌধুরী স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ট্রফি উন্মোচন
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ৪.৬৩ কোটি টাকা