মানহানির দুই মামলা নিষ্পত্তি পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন

| মঙ্গলবার , ৮ নভেম্বর, ২০২২ at ১০:০১ পূর্বাহ্ণ

মানহানির অভিযোগে ঢাকা ও নড়াইলে দুই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুই আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। খবর বিডিনিউজের।

আদালতে খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর দুই আবেদনে পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। পরে আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ববর্তী জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আবার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নিয়ে গিয়েছিলাম। আদালত দুটি মামলা নিষ্পত্তি পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন।

গত বছর সেপ্টেম্বরে বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাই কোর্ট বেঞ্চ এ দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে এক বছরের জামিন দিয়েছিল। ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।

পরের বছর ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এ বি সিদ্দিকী নামের এক ব্যক্তি মানহানির অভিযোগ এনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২০১৮ সালের ৭ আগস্ট খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেন। হাই কোর্টে জামিন আবেদন করলে আদালত ওই বছর ১৪ অগাস্ট খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের অন্তর্র্বতী জামিন দেয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বরের মন্তব্যের জেরে ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে মানহানির মামলা হয়। স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার ছেলে রায়হান ফারুকী ওই মামলা করেন।

এ মামলায় নড়াইলের আদালত ২০১৮ সালের ৫ অগাস্ট জামিন আবেদন খারিজ করলে হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন খালেদা জিয়া। পরে ১৩ অগাস্ট খালেদা জিয়াকে এ মামলাও ছয় মাসের অন্তর্র্বতী জামিন দেয় আদালত। কয়েক দফা জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর পর এবার মামলা নিষ্পত্তি পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন হাই কোর্ট। দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে কারাবন্দি হন। তবে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে এখন তিনি বাসায় আছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাওয়া ভবন ফিরে পেতে বিএনপির আন্দোলন : কাদের
পরবর্তী নিবন্ধশ্রমিক শ্রেণির মুক্তির আন্দোলনের অগ্রসেনানী কমরেড আবুল বাশার