চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ সময় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর দশ ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল ৫শ’ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ২ জনের মধ্যে শহরের একজন ও ফটিকছড়ি উপজেলার একজন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৬০২ জনে। এর মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ৭৩ এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৫২৯ জন। গতকাল করোনায় কেউ মারা যায় নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ১৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে একজনেরও সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৯২টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটিতে জীবাণু পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে ফটিকছড়িতে একজন আক্রান্ত শনাক্ত হয়।
এ ছাড়া, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৯, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১, বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ১, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৪৯, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৯, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৩২, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৬০, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৫৪ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ১৪টি নমুনা পরীক্ষার জন্য দেয়া হয়। নয় ল্যাবে পরীক্ষিত ২৬৯ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, এপিক হেলথ কেয়ার, ল্যাব এইড ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। এ দিন কোন নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ০৮ ও এন্টিজেন টেস্টে ২৫ শতাংশ এবং চমেকহা, চবি, আরটিআরএল, শেভরন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ০ শতাংশ।