পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি বলেছেন, বন রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বন রক্ষা করতে না পারলে পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে যেটুকু বন আছে ততটুকু রক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি আরো বনায়ন বাড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে পরিবেশ, বন, প্রতিবেশ সবকিছুকে রক্ষা করার জন্য অডিনেন্স তৈরি করেছেন। ১৯৭৪ সালে আইনও তৈরি করে দিয়েছেন। সরকারে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। পরিবেশের দিক থেকেও পৃথিবীর সর্বোচ্চ পুরস্কার সরকার পেয়েছেন।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ বন বিভাগের পদুয়া রেঞ্জ কার্যালয় প্রাঙ্গণে সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীদের লভ্যাংশের এবং বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবিব জিতু। অনুষ্ঠানে লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন হিরু, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান মিন্টু, মিয়া মুহাম্মদ শাহজাহান, মিজানুর রহমান, বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সামাজিক বনায়নে উপকারভোগী এবং বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তরা উপস্থিত ছিলেন। সামাজিক বনায়নের আওতায় উপকারভোগী ৯৫ সদস্যের মাঝে লভ্যাংশের ৮২ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮৭ টাকা ও বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪ ব্যক্তির মধ্যে আর্থিক ক্ষতিপূরণ বাবদ ২২ লাখ ১৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেন প্রধান অতিথি। উল্লেখ্য, মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসন এবং বন্যহাতি দ্বারা সাধারণ জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ কল্পে লোকালয় হতে জঙ্গলে বন্যহাতি নিরাপদে ফেরত পাঠাতে এ বনবিভাগের আওতাধীন সকল রেঞ্জ/বিটের অধীনে ৩৩টি এ্যালিফেন্ট রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমের সদস্য ও বনকর্মীদের সাথে নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাতি উপদ্রব-বিচরণকৃত এলাকায় নিয়মিতভাবে টহল প্রদান, জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভা, পথ সভা করা হয়। এছাড়া হাতি লোকালয়ে চলে আসলে করণীয় সম্পর্কিত লিফলেট বিতরণ, বন্যহাতির আক্রমণে সাধারণ জনগণের ক্ষয়ক্ষতি হলে বিধি মোতাবেক আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করাসহ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।