হাটহাজারী থানায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কচুর ভেতরে করে ১৮ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবাসহ তিন বোনকে আটক করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব-৭)। তারা হলো ফাতেমা বেগম প্রকাশ আনোয়ারা (৪০), হালিমা বেগম (৩২) ও আসমাউল হুসনা (২৬)।
আজ শুক্রবার(১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার এ তথ্য জানান।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার জানান, মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার হতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে মাদকের একটি বড় চালান নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে আসছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার(১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে হাটহাজারী এলাকায় চেক পোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি করার এক পর্যায়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নেমে তিনজন মহিলা সু-কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা তাদের আটক করেন। আটককৃতদের সঙ্গে থাকা শপিং ব্যাগের ভেতরে কচুর ভেতরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১৮ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা সবাই আপন বোন। তারা আট বোন এবং সবাই ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ফাতেমা অবৈধ মাদক ব্যবসা ও পাচারের পারিবারিক ব্যবসার মূল হোতা।
মো. নূরুল আবছার আরও জানান, মাদক বহনে অত্যন্ত দক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট এড়াতে একটি অন্য পথ অনুসরণ করে। প্রথমে তারা সবজির উপরের অংশ(কচুরমুখী) কেটে ভেতরে খালি করে ইয়াবা লুকিয়ে রাখে। তারপর পলিথিনের ব্যাগে মুড়িয়ে ইয়াবা রাখে। তারপর টমেটো এবং অন্যান্য শাকসবজি নিয়ে যায়। তারা চকরিয়া পর্যন্ত আসে তারপর পুলিশ ও অন্যান্য চেকপোস্ট এড়াতে ফাঁসিয়াখালী-লামা-আলীকদম-বিলছড়ি-লোহাগাড়া পথ অনুসরণ করে। পরে তারা সবাই সাতকানিয়ার কেরানিহাটে এসে সেখান থেকে দুই দলে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি দল নিয়মিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অনুসরণ করে এবং অন্যটি কেরানিহাট-বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা-রাঙ্গুনিয়া রুট অনুসরণ করে। হাটহাজারী পর্যন্ত কোনো শনাক্ত বা চেক ছাড়াই পৌঁছায়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার আরও জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার জেলা হতে ইয়াবা ট্যাবলেট স্বল্পমূল্যে ক্রয় করে পরবর্তীতে তা বেশি মুনাফা লাভের আশায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট পাচার করে আসছে। আটকৃতরা ইয়াবা পাচারে সবসময়ই নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করে ইয়াবা পাচার করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৫৬ লাখ টাকা। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।