আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিক্ষোভ অংশ নেওয়ার পর এক নারী অধিকারকর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তালেবানের বিরুদ্ধে। বুধবার মুরসাল আয়ার নামের এই কর্মীকে গ্রেপ্তার করে তালেবান কর্তৃপক্ষ। নারীদের সমান অধিকারের দাবিতে একটি সমাবেশে অংশ নেওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
আফগানিস্তানে নারীদের লাগাতার বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়ে আসছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনের নজর কেড়েছে। সমপ্রতি কয়েক সপ্তাহে নারীদের এমন বিক্ষোভের প্রেক্ষপটে গ্রেপ্তার হওয়া মুরসাল আয়ার ষষ্ঠ নারী অধিকারকর্মী বলে মনে করা হচ্ছে।
তালেবান অবশ্য আয়ারকে আটক করার কথা অস্বীকার করেছে। তালেবানের মুখপাত্র বিলাল করিমি বলেছেন, তারা আয়ারের ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি কেবলই ঘটেছে। আমরা এটি খতিয়ে দেখছি।
আয়ারের আগে গত ১৯ জানুয়ারি পারওয়ানা ইব্রাহিমখাইল, তামানা পারিয়ানি এবং তার তিন বোন জারমিনা, শফিকা এবং কারিমা নিখোঁজ হয়ে যান। তাদের নিয়েও শঙ্কা আছে। ইব্রাহিমখাইল এবং পারিয়ানি গত ১৬ জানুয়ারির বিশাল বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। দেশের নতুন তালেবান শাসনে নারীদের কাজ, পড়াশুনা এবং রাজনৈতিক অধিকার পাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তারা।
এর কয়েকদিন পরই পরিয়ানি স্যোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন যাতে অস্ত্রধারী ব্যক্তিদেরকে তার বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়। ভিডিওটি শেষ হওয়ার আগে তিনি বলেন, সাহায্য করুন, তালেবান আমার বাড়িতে ঢুকেছে।