পুঁথিগবেষক মুহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী স্মরণ সভায় কক্সবাজার ইন্টান্যাশনাল বিশ্ববিদ্যাললের প্রাক্তন উপাচার্য ড. মো আবুল কাসেম বলেছেন, পুঁথি সাহিত্য আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। আজকাল বিশ্বাবদ্যালয়গুলোতে পুঁথি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা হয় না, বাংলাসাহিত্যের শিক্ষার্থীরা পুঁথি সাহিত্য বিষয়ে তেমন অবগত নয়। এসব বিষয়ে গবেষণার কেউ নেই। ইসহাক চৌধুরীকে হারিয়ে আমরা নিষ্ঠাবান এক গবেষককে হারালাম। তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অন্তত বাংলা বিভাগে পুঁথি ও লোকসাহিত্য বিষয়টি সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। শিল্পশৈলীর উদ্যোগে গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন। শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাশেদ রউফের সভাপতিত্বে সভায় আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমির উপ পরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া, সরকারি চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রীতা দত্ত, সরকারি মুহাম্মদ মহসীন কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ইলু ইলিয়াস, ইতিহাসের খসড়া পত্রিকার সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল হক। ড. সাইমন জাকারিয়া বলেন, মুহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী লোকসাহিত্য গবেষণা ও সংগ্রহে শুধু আমাদের কাছে নয় আন্তর্জাতিক মহলেও একটি স্মরণীয় নাম। তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার চৌধুরী ও তাঁর সংগৃহীত পুঁথি নিয়ে আমেরিকার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হচ্ছে। তাঁর রেখে যাওয়া কাজকে ত্বরান্বিত করতে তরুণ প্রজন্মদের গবেষণায় এগিয়ে আসতে হবে। বক্তারা প্রকাশিত প্রবন্ধগুলো নিয়ে ইসহাক চৌধুরী রচানাবলী প্রকাশের জন্য বাংলা একাডেমির প্রতি দাবি জানান। শিশুসাহিত্যিক ইসমাইল জসীমের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিপুল বড়ুয়া, অধ্যাপক সুপ্রতীম বড়ুয়া, অমিত বড়ুয়া, কবি শাহীন মাহমুদ, শিবুকান্তি দাশ, ভাস্কর ডি কে দাশ মামুন, তাজুল ইসলাম রাজু, বিকিরণ বড়ুয়া, শাকিল আহমদ, নাসির হায়দার, রুহু রুহেল, রশীদ এনাম, এডভোকেট আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ব্যাংকার ফারুখ খান চৌধুরী, সাধিকা সৃজনী তানিয়া। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।