চট্টগ্রাম বন্দরে মরিশাস থেকে কম্বলের কাপড় ঘোষণায় বিপুল পরিমাণ কম্বল ও জায়নামাজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আসে পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডের এমজিএল কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড। মিথ্যা ঘোষণায় এসব পণ্য আমদানির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ১৭ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে জানিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা। এআইআর শাখার কর্মকর্তারা জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি মরিশাসের পোর্ট লুইস থেকে কোটা নাজার নামের জাহাজে করে আটক কন্টেনার আসে। কন্টেনারের পণ্য খালাসে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএন্ডএফ ছিল আগ্রাবাদ নুর সেন্টারের প্রত্যয় ইন্টারন্যাশনাল। চালানটি খালাসে গত ১৭ জুলাই সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে, যার নম্বর সি-১৬১৫১৭। তবে পণ্য চালানটির বিষয়ে গোপন সংবাদ থাকায় কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে লক করে রাখা হয়। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বন্দরের জেআর কন্টেইনার ইয়ার্ডে রাখা কন্টেইনারটি এআইআর টিম ফোর্স কিপ-ডাউন করে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। কায়িক পরীক্ষায় দেখা যায়, কন্টেনারটিতে ২৩৮টি প্যাকেজের প্রায় প্রতিটি প্যাকেজে ইনার প্যাকেজের গায়ে প্রেরক ও প্রাপকের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর সম্বলিত কাপড় সেলাই করা অবস্থায় ছিল। নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে এতে প্রায় ১ হাজার ৫৫১টি কম্বল, ৪৮৩টি জায়নামাজ এবং ১২০ কেজি বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনী, ২০০ কেজি বিভিন্ন প্রকার ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীসহ মোট ৭ হাজার ৫৭০ কেজি পণ্য পাওয়া যায়।
কাস্টমসের এআইআর শাখার উপ-কমিশনার শরফুদ্দিন মিয়া বলেন, মিথ্যা ঘোষণা পণ্য চালানটির শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ছিল ২০ লাখ টাকা। আমদানিকারক মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য এনে ১৭ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে।