সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীরা হলেন, মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রার্থী মো. মফিজুর রহামন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মদ। বুলবুল আহম্মদ বলেন, জহিরুল ইসলামের দেওয়া ১০০ সমর্থকের তালিকা থেকে দৈবচয়ন করা ৫ জনের মধ্যে একজন অবৈধ সমর্থক পাওয়া যায়। তাই তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এছাড়া মফিজুর রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সঠিক না থাকায় তার মনোনয়নও বাতিল করা হয়।
এদিকে নির্বাচন কর্মকর্তাদের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে গতকাল বিকালে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী জহিরুল ইসলাম। জহিরুল বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তা তার সমর্থকদের যাচাই করতে গিয়ে ধমকের সুরে কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন। অনেকে তাৎক্ষণিক শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে পারেনি। অথচ তাদের সময় দেওয়া হয়েছে। পরে অনেকে জমা দিলেও তাদের তথ্য যাচাই করা হয়নি। অথচ শতাধিক ভোটারের মধ্যে এক ব্যক্তি অন্য এলাকার ভোটার হয়ে ভুলক্রমে তালিকায় নাম সংযুক্ত করায় তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কর্মকর্তা। তিনি এবিষয়ে আপিল করবেন বলে জানান।
জানতে চাইলে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মদ বলেন, ১০০জন ভোটার তালিকা থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে পাঁচজনের তালিকা যাচায় করে দেখা গেছে একজন সমর্থক পৌরসভার ভোটার নয়। তাই নির্বাচন বিধিমালা অনুসারে তার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তিনি ইচ্ছা করলে আপিল করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।