কক্সবাজারের শরণাথী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের প্রথম দলকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ভাসান চরে নেওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছু দ্দৌজা গতকাল সোমবার এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ভাসানচর পরিদর্শন করে এসেছি। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে রোহিঙ্গাদের একটি দল ভাসান চরে স্থানান্তরের যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে। খবর বিডিনিউজের।
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে দুই বছর আগে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসান চরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছিল সরকার। তবে সাগরের ভেতরে জনমানবহীন ওই চরে আশ্রয় নিতে রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহের কারণে এতদিন তাদের সেখানে স্থানান্তর সম্ভব হয়নি।
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ইতোমধ্যে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়েছে। এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর কঙবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দলকে দেখার জন্য ভাসান চরে পাঠানো হয়। তারা ফেরার পর তাদের কথা শুনে রোহিঙ্গাদের একাংশ ভাসান চরে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে বলে জানানো হয় সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে। সামছু দ্দৌজা বলেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক, তাদের তালিকা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। তবে প্রথম দফায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভাসান চরে স্থানান্তর করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা। এখানে সম্মতির বিষয় রয়েছে। কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিষয় রয়েছে। সবকিছু আগামী কয়েকদিনের মধ্যে গুছিয়ে রাখা হবে। আশা করছি, ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে রোহিঙ্গাদের একটি দলকে ভাসান চরে নেওয়া সম্ভব হবে।