সম্প্রতি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, নিজের ভাইঝিকে নাকি বিয়ে করতে যাচ্ছেন বলিউডের প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার ও নির্মাতা প্রভুদেবা। তবে সে গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে জানা গেল, আত্মীয় নন এমন একজন ফিজিওথেরাপিস্টকে মাস দুয়েক আগেই চুপিসারে বিয়ে করেছেন প্রভুদেবা। প্রভুদেবা বিয়ের গোটা ব্যাপারটা এতটাই গোপনে সেরে ফেলেন যে, সংবাদমাধ্যম তো দূরের কথা, ইন্ডাস্ট্রির অনেকেও তা টের পাননি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে পিঠের ব্যথায় ভুগছিলেন প্রভুদেবা। চিকিৎসকদের পরামর্শে বেশ কয়েক মাস আগে এক ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে যেতে শুরু করেন তিনি। অল্পদিনের মধ্যেই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তাই দেরি না করে সেপ্টেম্বরে বিয়ে সেরে ফেলেন তারা। খবর বাংলানিউজের।
মুম্বাইয়ে প্রভুদেবার বাড়ি ‘গ্রিন একর্স’-এই বিয়ের অনুষ্ঠান হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিশেষ কেউ আমন্ত্রিত ছিলেন না। বরং পরিবারের লোকজন ও হাতেগোনা কয়েক জন বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। নবদম্পতি এই মুহূর্তে চেন্নাইয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও প্রভুদেবা বা তার পরিবারের কেউ বিয়ের কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেননি। জনপ্রিয় এই তারকা নিজের এক আত্মীয়কে বিয়ে করতে চলেছেন বলে সম্প্রতি খবর ছড়িয়ে পড়ে। সেই নিয়ে খোঁজখবর শুরু হলে অভিনেতার ঘনিষ্ঠ মহল থেকে বলা হয়, ‘সব ভুয়া খবর। এক ফিজিওথেরাপিস্টকে বিয়ে করেছেন প্রভুদেবা। তবে তিনি সম্পর্কে আত্মীয় নন।’ ব্যক্তিগত জীবনে ওঠাপড়া নিয়ে বরাবরই খবরের শিরোনামে থেকেছেন প্রভুদেবা। জনপ্রিয়তার শিখরে থাকাকালীন ১৯৯৫ সালে রামলতা ওরফে লতার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তাদের তিন সন্তানও হয়। ২০০৮ সালে প্রভুদেবার বড় ছেলের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ছেলের মৃত্যুর পরই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে চিড় ধরে বলে শোনা যায়। ২০১০ সালে দক্ষিণী অভিনেত্রী নয়নতারার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান প্রভুদেবা। তা জানতে পেরে অনশনে বসার হুমকি দেন লতা। শেষমেশ ২০১১ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরে নয়নতারার সঙ্গেও সম্পর্ক ভেঙে যায়। তার পর প্রভুদেবা ও নয়নতারা, দু’জনেই অভিনয় থেকে সাময়িক বিরতি নেন। নয়নতারার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর বলিউডে মনোনিবেশ করেন প্রভুদেবা।