স্মৃতিসৌধে স্বজনরা বিচারের আকুতি

বাঁশখালীর ইলেভেন মার্ডারের দেড়যুগ পূর্তি

বাঁশখালী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৯ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ক্ষোভ, হতাশা ও নানা দাবি নিয়ে পালন করা হয় দেশের আলোচিত হত্যাকাণ্ড সাধনপুরে শীলপাড়ার ১১ জন নারী-পুরুষ ও নবজাতক হত্যার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর আগুনে পুড়িয়ে মারা হয় তেজেন্দ্র লাল শীল, বকুল বালা শীল, অনিল কান্তি শীলসহ বান্দরবান থেকে বেড়াতে আসা তেজেন্দ্র শীলের ভায়রা দেবেন্দ্র শীলকে। ১১ হত্যার ১৮ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে সাধনপুরের শীলপাড়ায় ঘটনাস্থলে গতকাল বৃহস্পতিবার নানা ধর্মীয় কার্যাদির আয়োজন করা হয়। বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক প্রদান করা হয়। এ সময় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, নিহত তেজেন্দ্র শীলের পুত্র মামলার বাদী বিমল শীল, ভাই শিক্ষক নির্মল শীল, নিহত তিন কন্যা বাবুটি শীল, প্রসাদী শীল ও এ্যানী শীলের পিতা শচীন্দ্র শীল, স্বজন বাদল শীল, আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরীকে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করার দাবিসহ নিরাপত্তার দাবি জানালে তিনি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান।
মামলার বাদী বিমল শীল আক্ষেপ করে বলেন, ১১ হত্যা মামলার দেড়যুগ পূর্ণ হলেও এখনো স্বজন হারানোর বিচার পেলাম না। আদৌ বিচার পাব কিনা জানি না। ৩৮ জন আসামির মধ্যে মাত্র ২ জন জেলে রয়েছেন। বাকি ১৯ জন পলাতক আর ১৭ জন জামিনে রয়েছে। কখন আবারো হামলার শিকার হই সে জন্য বারবার তটস্থ থাকতে হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে অস্ত্র-ইয়াবাসহ আটক ১০
পরবর্তী নিবন্ধমিথ্যা তথ্যে ঋণ নিলে ৫ বছর জেল