পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার রাবার ও রাবারভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও প্রসারে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এসব কর্মসূচির বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে এ খাতের বিকাশ ও প্রসার ত্বরান্বিত হবে। এতে জাতি অনেক বেশি উপকৃত হবে।
গতকাল বুধবার নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের রাবারভিত্তিক শিল্পপণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন মন্ত্রী।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রায় ৪০ হাজার একর জমিতে ১৮টি রাবার বাগান সৃজন করেছে। বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি ৩৩ হাজার একর জমি রাবার চাষের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে। খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিসহ দেশের ১২টি জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ১৩ হাজার ২০০ একর জমিতে রাবার চাষের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করছে রাবার বোর্ড। রাবার চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণ সংগঠিত হয়ে এ খাতটির উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিটের পরিচালক ড. রফিকুল হায়দার এবং এফবিসিসিআই পরিচালক সৈয়দ মোয়জ্জেম হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরো বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের রাবার শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় অর্থনীতিতে রাবার শিল্পের অবদান উত্তরোত্তর বাড়ছে। দেশে উৎপাদিত উন্নতমানের রাবার অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট রাবার ও রাবারভিত্তিক শিল্পের সমপ্রসারণ ও বিকাশের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা কার্যক্রম সফলভাবে সম্পাদন করেছে। এ খাতের উন্নয়ন হলে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে। রাবার শিল্পের বিকাশ দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।