‘সন্ত্রাসী তালিকায় বক্করের নাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ৩২৩ সন্ত্রাসীর হালনাগাদ তালিকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্করের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তারা এই ধরনের তালিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গতকাল সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, বেগম রোজী কবির, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান এক বিবৃতিতে বলেন, আবুল হাশেম বক্কর একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। ছাত্রদল ও যুবদলের রাজনীতির মাধ্যমে তৃণমূল থেকে উঠে আসা আবুল হাশেম বক্কর কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং পরবর্তীতে সফলতার সাথে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এই করোনাকালে তিনি অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের সাথে জড়িত। এমন পরিছন্ন একজন ব্যক্তিকে সন্ত্রাসী তালিকায় যুক্ত করা বিস্ময়কর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে শুধু পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়নি, বরং পুলিশ যে দলীয় সরকারকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে তা নতুন করে প্রমাণ করেছে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে আবুল হাশেম বক্করসহ নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান।