সঙ্গীর অভাবে ২৫ রানের আক্ষেপ মুশফিকের

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ২৫ মে, ২০২২ at ৭:২২ পূর্বাহ্ণ

শ্রীলংকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম আধ ঘন্টাতেই বাংলাদেশ চলে গিয়েছিল খাদের কিনারায়। খাদের কিনারা বললে ভুল হবে। বলতে হবে একেবারে ডুবতে বসেছিল বাংলাদেশ। সে ডুবন্ত বাংলাদেশকে টেনে তুলেছেন মুশফিক এবং লিটন দাশ। এর মধ্যে লিটন ১৪১ রান করে ফিরলেও মুশফিক এগিয়ে যাচ্ছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু সম্ভাবনা জাগিয়েও সঙ্গীর অভাবে আর একটি ডাবল সেঞ্চুরি করা হলো না মুশফিকুর রহিমের। একপ্রান্তে অপরাজিতই থেকে গেছেন ১৭৫ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলে। যা তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। অথচ সেটা হতে পারতো চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের নয়টি সেঞ্চুরির মধ্যে বর্তমানে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে মুশফিকের। সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ২১৯ রানের। যা তিনি করেছিলেন মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৮ সালে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ২০৩ রানের ইনিংসটিও মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২০ সালে। তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরিটি ২০০ রানের। সেটি মুশফিক খেলেছেন শ্রীলংকার বিপক্ষে গল স্টেডিয়ামে। ২০১৩ সালে। চলমান ঢাকা টেস্টে আরকেটি ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ধীরে ধীরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলোনা সঙ্গীর অভাবে। অবশ্য মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর লিটন দাসের সঙ্গে ২৭২ রানের জুটি গড়ে এরই মধ্যে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন মুশফিক। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটিরও রেকর্ড এটি। এছাড়া মাত্র ২৫ রানের কমে ৫ উইকেট পড়ার পর এত বড় জুটি আর দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব। শুধু তাই নয় ২৪ রানে ৫ উইকেট পতনের পর দুটি সেঞ্চুরি কিংবা ১৭৫ রানের ইনিংস কোনটি দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব। যা দেখেছে মুশফিক-লিটনের কল্যানে। এছাড়া লিটন-মুশফিকের এই জুটির ব্যাপ্তিকাল ছিল ৩৮৪ মিনিট। দুজন মিলে উইকেটে খেলেছেন ৫১৩টি বল। আর মাত্র ৬ বল খেললেই বাংলাদেশের পক্ষে এক জুটিতে সবচেয়ে বেশি বল খেলার রেকর্ডের অংশীদার হতে পারতেন মুশফিক। কিন্তু লিটন আউট হয়ে যাওয়ায় ৫১৩ বলেই থেমে যায় জুটি।

বাংলাদেশ যখন অল আউট হয় তখন ৩৫৫ বল খেলে ২১টি চারের সাহায্যে মুশফিক করেছেন ১৭৫ রান। দুই দিন মিলিয়ে মুশফিক উইকেটে ছিলেন মোট ৫২৬ মিনিট। আর ঘণ্টাখানেক খেলতে পারলেই বাংলাদেশের পক্ষে ইনিংসে সর্বোচ্চ সময় খেলার নতুন রেকর্ড হতো তার। ২০১৮ সালে মিরপুরেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ২১৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। সেদিন বলের হিসেবেও সর্বোচ্চ ৪২১ বল খেলেছিলেন মুশফিক। সেই ইনিংস খেলার পথে ৫৮৯ মিনিট উইকেটে ছিলেন দলের অভিজ্ঞতম ব্যাটার। এটিই বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড। দুটি রেকর্ড হাতছাড়া হলেও মুশফিকের আক্ষেপটা নিশ্চয়ই চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরিটা তুলে নিতে না পারা। কারন এমন সুযোগতো আর বার বার আসেনা। আর সেটাই হয়তো পোড়াচ্ছে মুশফিককে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহকিতে ওমানকে হারিয়ে বাংলাদেশের প্রতিশোধ
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ১৮.৭০ কোটি টাকা