কক্সবাজারের রামু থেকে অপহৃত চার ছাত্রের মধ্যে সর্বশেষ মিজানুর রহমানকেও উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার ভোরে টেকনাফের শালবাগান পাহাড় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মোট আট রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন ও র্যাব সদস্যরা।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হয় উপহৃত আরো ৩ ছাত্র। আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও র্যাব যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদের উদ্ধার করে। শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে অপহৃত দুই স্কুলছাত্রকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব।
তারা জানান, শুক্রবার দুপুরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে এক অপহরণকারীকে আটক করেছে র্যাব ১৫ এর সদস্যরা। তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে বিকেলে অপহৃত ৪ জনের মধ্যে প্রথমে মো. কায়ছারকে উদ্ধার করা হয়। অন্য ৩ জনকে উদ্ধারে র্যাব ও এপিবিএন অভিযান অব্যাহত রাখে। পরে সন্ধ্যায় এপিবিএন সদস্যরা শালবাগান পাহাড় থেকে মিজানুর রহমান নয়ন এবং জাহেদুল ইসলামকে উদ্ধার করে। শনিবার ভোরে র্যাব সদস্যরা সবশেষ মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে অভিযান শেষ করে।
র্যাব ১৫ অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল খাইরুল ইসলাম সরকার জানান, অপরহণকারীদের ধরতে তারা নানা কৌশল অবলম্বন করে। গোয়েন্দা নজরদারী বাড়িয়ে কৌশলে টেকনাফের হ্নীলা শালবাগান পাহাড় থেকে অপহৃতদের উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, ৭ ডিসেম্বর কঙবাজারের উখিয়ার সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের কথা বলে অপহরণ করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী চক্র। অপহরণ করার পর চক্রটি তাদের স্বজনদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
