কোর্ট হিলের অবৈধ স্থাপনা সরাতে ২৫ দফতরের চিঠি

| রবিবার , ১২ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ

নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য রক্ষার্থে কোর্ট হিলের অপরিকল্পিত এবং অনুমোদনহীন স্থাপনাগুলো অপসারণের জন্য সরকারি ২৫টি দফতর থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সমপ্রতি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি কর্তৃক ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে দুটি ভবন নির্মাণের প্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারি করা পত্র অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে নতুন কোনো ভবন নির্মাণ না করা এবং ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি কর্তৃক নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। খবর বাংলানিউজের।
আইনজীবী সমিতির নতুন দুটি ভবন নির্মাণ নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ায় জেলা প্রশাসন ও আইনজীবীরা। জেলা প্রশাসন ও নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, প্রস্তাবিত ভবন দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ও অনুমোদনহীন। আইনজীবী সমিতির মতে, অনুমোদন নিয়েই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পরে সরকারের ২৫টি দফতর কোর্ট হিল থেকে অবৈধ ও অনুমোদনহীন স্থাপনা সরাতে উদ্যোগ নিয়ে কয়েক দফা চিঠি দেয়। চিঠি দেওয়া সরকারি দফতরগুলো হলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, চট্টগ্রাম ওয়াসা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র চট্টগ্রাম, পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়, পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা-৯, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এবং পুলিশ অধিদফতর।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পাহাড় বা টিলা শ্রেণির জমির কোনোরূপ পরিবর্তন করা যাবে না। এটা আইনি বাধ্যবাধকতা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না বস্তিতে
পরবর্তী নিবন্ধরামুর অপহৃত আরেক ছাত্র মিজানুরও উদ্ধার