রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ইটভাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এক সাংবাদিক। গতকাল সকালে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউপি সদস্য এ হামলা চালান বলে অভিযোগ ওই সাংবাদিকের সহকর্মীর। হামলার শিকার আবু আজাদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসের রিপোর্টার। খবর বিডিনিউজের।
ব্যুরো প্রধান শামসুদ্দিন ইলিয়াস বলেন, রাঙ্গুনিয়ার অবৈধ ইটভাটা নিয়ে সংবাদ তৈরির জন্য আবু আজাদকে অফিস থেকে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছিল। আবু আজাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম–রাঙামাটি সড়কের মঘাছড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়ার ছবি তুলেছিলেন আবু আজাদ।
এ সময় ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার ও মোহন লোকজন নিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায় অভিযোগ করে তিনি বলেন, পরে মঘাছড়ি বাজারে নিয়ে মারধর করে মোবাইল ভেঙে ফেলে এবং তার কার্যালয়ে আটকে রাখে। মানিব্যাগসহ আবু আজাদের পরিচয়পত্রও রেখে দেওয়া হয়। মারধরের পর আহত ওই সাংবাদিককে
১০০ টাকা দিয়ে রাঙামাটির বাসে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নেন।
ইউপি সদস্য মোহনের দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কাছ থেকে শুনে ইটভাটায় গিয়ে শ্রমিকদের হাত থেকে আবু আজাদকে ‘উদ্ধার’ করে নিজের কার্যালয়ে নিয়ে গেছেন। ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে সেখানে শ্রমিকদের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়েছিল।
পরিচয়পত্র, মানিব্যাগ ও চাবি নিজের কাছে রাখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা হয়েছে। কালকে পরিষদে এসে উনি বা তার প্রতিনিধি নিয়ে যাবেন। চেয়ারম্যান মহোদয় উপযুক্ত বিচার করবেন।
ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুলও ছবি তোলা নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে ওই সাংবাদিকের ‘ঝামেলা’ হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, যদি মারধর করা হয় তাহলে তার উপযুক্ত বিচার হবে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহবুব মিল্কী জানান, তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা গেলে আটক করা হবে।