রাঙ্গুনিয়ায় আপন দুই ভাইকে একসাথে ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনার পলাতক দুই আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
তারা হলো মো. মোর্শেদুল আলম (২২) এবং তার বড় ভাই মো. সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সাইফু (৪২)।
তারা উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিম খুরুশিয়া মধ্যম পাড়া গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে।
এর আগে খুনের সময় ঘটনাস্থল থেকে তাদের পিতা শফিকুল ইসলাম ও অপর ভাই খোরশেদ আলমকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তারা সবাই খুনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটার দিকে পদুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম খুরুশিয়া গ্রামে গ্রেফতারকৃতরা গরুর গলা থেকে রশি খুলে নেয়াকে কেন্দ্র করে জালাল উদ্দিন (২৫) ও তার ছোট ভাই কামাল হোসেনকে (২২) ছুরিকাঘাতে খুন করে। তারা একই গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন মো. ইদ্রিছ এবং তার তিন ছেলে মো. বাদশা, সালাউদ্দিন ও মো. রানা।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল ইসলাম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মোর্শেদকে কুমিল্লা থেকে এবং তার বড় ভাই সাইফুকে নগরীর বায়েজিদ থানা এলাকা থেকে প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে এবং মামলার ৭২ ঘন্টার মধ্যে পলাতক বাকী দুই আসামিকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর সকালে বাড়ির পাশের জমিতে জালাল উদ্দিন গরুকে ঘাস খাওয়াতে গিয়ে সেখানে বেঁধে রেখে আসেন। দুপুরের দিকে গিয়ে গরুর গলার রশি খোলা অবস্থায় দেখতে পান। এক পর্যায়ে সেটি শফিকুল ইসলামের হাতে দেখতে পেয়ে বাগবিতণ্ডা হয় এবং হাতাহাতিতে শফিকুল ইসলাম সামান্য আহত হলে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এর জেরে একই দিন বিকাল ৫টার দিকে শফিকুলের তিন ছেলে জালালের ওপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে ভাই কামালসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। এ সময় ছুরিকাঘাতে জালাল ও কামাল আহত হলে হাসপাতালে নেয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ইদ্রিছ ও তার তিন ছেলে। এই ঘটনায় নিহতদের পিতা জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় শফিকুল ও তার তিন ছেলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতদের পিতা জহিরুল ইসলাম বলেন, “যারা তুচ্ছ ঘটনায় আমার দুই সন্তানকে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি।”