যেসব সেবা ও পণ্যের দাম বাড়ছে

| শুক্রবার , ২ জুন, ২০২৩ at ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ

এবারও বাজেটে বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় শুল্ক পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে, ফলে বাজেট পাস হলে এসব জিনিসের দামেও পরিবর্তন ঘটবে। ২০২৩২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব জিনিসের দাম বাড়বে। খবর বিডিনিউজের।

সিগারেট : সিগারেট ও তামাক পণ্যের শুল্ক বাড়ছে। তরল নিকোটিনের বিপরীতে ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব এসেছে। ইসিগারেট ও ভেপোরাইজিং ডিভাইস ও এর যন্ত্রাংশ আমদানিতে ২১২ দশমিক ২০ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

গাড়ি : একাধিক গাড়ির ক্ষেত্রে সিসি বা কিলোওয়াটভিত্তিক পরিবেশ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে একাধিক গাড়ি রাখার ক্ষেত্রে খরচ বাড়বে।

জমি : জমি নিবন্ধনে উৎস কর বাড়ছে।

ভ্রমণ : বিদেশ ভ্রমণ কমিয়ে আনতে ভ্রমণ কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বিমান ভ্রমণেও করহার বাড়ছে।

কলম : বল পয়েন্ট কলমে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সফটওয়্যার : সফটওয়্যারের উৎপাদন পর্যায়ে ও কাস্টমাইজেশন সেবার উপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এলপিজি সিলিন্ডার : এলপিজি সিলিন্ডার তৈরির স্টিলের উপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

মোবাইল সেট : দেশে তৈরি মোবাইল সেট: স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ০ (শূন্য) শতাংশের পরিবর্তে ২ শতাংশ, সংযোজন পর্যায়ে যথাক্রমে ৩ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ এবং ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করে প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিতকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। উল্লিখিত প্রজ্ঞাপনের কিছু শর্ত যৌক্তিকীকরণ ও নতুন শর্ত সংযোজনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্লাস্টিক পণ্য : প্লাস্টিকের তৈরি সকল ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালী সামগ্রী, হাইজেনিক ও টয়লেট সামগ্রীসহ যে কোনো পণ্যের (টিফিন বঙ ও পানির বোতল ব্যতীত) ভ্যাট ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

থালাবাসন : অ্যালুমিনিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি কিচেন বা অন্যান্য গৃহস্থালি তৈজসপত্র, স্যানিটারিওয়্যার এবং যন্ত্রাংশের মূসক হার ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব।

টিস্যু : কিচেন টাওয়েল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল বা পকেট টিস্যু, হ্যান্ড টাওয়েল/পেপার টাওয়েল/ক্লিনিকাল বেড শিটের ভ্যাট হার ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিদেশি সাবান : আমদানি করা সাবান ও ডিটারজেন্ট পাউডারের রেগুলেটরি ডিউটি ৩ থেকে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব এসেছে বাজেটে। শুল্ক বাড়ছে আমদানি করা ফেইসওয়াশেও।

সানগ্লাস : প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেমযুক্ত সানগ্লাসের ভ্যাট হার ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সিমেন্ট : আমদানি করা সিমেন্ট ক্লিংকারের প্রতি টনের স্পেসিফিক রেট অব ডিউটি ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য স্পেসিফিক রেট অব ডিউটি ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫০ টাকা হচ্ছে।

লিফট : লিফট ও স্পিপ হোস্ট আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এস্কেলেটরের আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

বিদেশি সফটঅয়্যার : সফটওয়্যার আমদানির শুল্ক ২৫ শতাংশ ও ভ্যাট ১৫ শতাংশ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

কাজুবাদাম : খোসা ছাড়ানো কাজুবাদামের করভার ১৫.২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, আমাদের পাহাড়ি অঞ্চলে কাজু বাদাম উৎপাদিত হচ্ছে এবং সেখানে বাদাম প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে উঠেছে।

বাসমতি চাল : নন ফর্টিফায়েড বাসমতি চাল আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ফল : প্রক্রিয়াজাত ফল আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। সব ধরনের খেজুর আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব এসেছে। আপেলের দামও বাড়তে পারে।

সাইকেল : বাইসাইকেলের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ১০ থেকে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সব ধরনের বেয়ারিং ও কবজার দামও বাড়তে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযেসব সেবা ও পণ্যের দাম কমবে
পরবর্তী নিবন্ধবাজেটে এগিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ