মুরগি ও ডিমে কমল উত্তাপ

শিমের কেজি ২০০ টাকা!

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২০ আগস্ট, ২০২২ at ৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ

সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় নগরীর খুচরা বাজারগুলোতে কমছে সবজির দাম। প্রতিদিন ভোরের দিকে দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে রেয়াজুদ্দিন বাজারের পাইকারি আড়তে প্রবেশ করছে সবজিবাহী ট্রাক। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে নগরীর সবজির বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। অন্যদিকে কয়েক সপ্তাহ উত্তাপ ছড়িয়ে কমছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দামও।
নগরীর সবজির আড়তদাররা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তরাঞ্চলীয় জেলার পাশাপাশি নগরীর বাজারগুলোতে চট্টগ্রামের স্থানীয় উপজেলার মধ্যে চন্দনাইশ, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী এবং ফটিকছড়ি থেকে প্রচুর সবজি আসছে। গতকাল নগরীর কাজীর দেউড়ি ও ব্যাটারি গলি কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাকরোল কেজিতে ১০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এ ছাড়া শসা ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা, পটল ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা, ঝিঙা ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা, তিতা করলা ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা, লাউ ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা, বেগুন ১০ টাকা ৫০ টাকা, বরবটি ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা, পেঁপে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
অন্যদিকে আগাম শীতকালীন সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায় এবং ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এছাড়া টমেটো কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। স্থিতিশীল রয়েছে আলুর দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকায়। নগরীর কাজীর দেউড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আজম বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ আগের তুলনায় সবজির সরবরাহ বেড়েছে। ফলে সবজির দাম কমছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে এটাই স্বাভাবিক। কাঁচাপণ্যের বাজার আসলে চাইলেও কেউ মজুদ করে রাখতে পারে না।
এ দিকে চাহিদা কমার কারণে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। এ ছাড়া ডিমের ডজন ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকা এবং প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৫০ টাকায় গিয়ে ঠেকে।
কাজীর দেউড়ি বাজারের মুরগি বিক্রেতা মাহাবুবুল আলম বলেন, দাম বাড়ার পর বাজারে মুরগি বিক্রি কমে যায়। এর ফলে দাম কমতে শুরু করেছে। ডিম বিক্রেতা হাসান আলী বলেন, গরমে ডিম নষ্ট হয়ে যায়। এখন বাজারে ডিমের খুব একটা চাহিদা নাই। আগে যারা এক ডজন ডিম কিনতেন, তারা এখন কিনছেন এক হালি।
কাজীর দেউড়ি বাজারে আসা ক্রেতা আশরাফুল মারুফ বলেন, কাঁচা বাজার এক সপ্তাহ বাড়ছে তো আরেক সপ্তাহে কমছে। এই হিসাবটাই আসলে বুঝি না। এখন বাজার কমতির দিকে রয়েছে। তবে আমার মতে, প্রশাসন যদি বাজারে নিয়মিত নজরদারি চালায়, তবে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো আর দাম বাড়াতে পারবেন না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিক্ষোভ নয়, গণমিছিলে জোর বিএনপির
পরবর্তী নিবন্ধমুছে গেল দুই ভাইয়ের হাসি