মিয়ানমার বর্ডার গার্ডের কাছে আটক বাংলাদেশী তিনটি ট্রলার!

মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ

টেকনাফ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৯ নভেম্বর, ২০২১ at ৪:২৭ অপরাহ্ণ

মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) বাংলাদেশী তিনটি ট্রলার আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল সোমবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার সময় সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে মিয়ানমারের আকিয়াব শহরের মংডু এলাকার আংডাং-কুলুং উপকূল থেকে সেগুলোকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকালে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী ঘাট দিয়ে এসব ফিশিং ট্রলার বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে রওয়ানা দেয়।

এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেখানে আটক নৌকার মালিক ও মাঝি টেকনাফ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড নাইট্যং পাড়ার বাসিন্দা ফজল করিম ওরফে নাতির ছেলে নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “অন্যান্য দিনের মতো গত ৫ নভেম্বর বেশ ক’টি ফিশিং ট্টলারের মতো আমার বাবা নিজে ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারে বের হন। কিন্তু গতকাল সোমবার ৮ নভেম্বর দুপুরে জানা যায় বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার সীমান্তে আংডাং কুলুং এলাকা থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা চারটি বাংলাদেশী ফিশিং ট্রলার ধরে আটকে রাখে।”

ট্রলারগুলোর মালিক হলেন টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়ার ফজল করিম, ৭নং ওয়ার্ড চৌধুরী পাড়ার সালমান ও ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার মো. ছৈয়দ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফজল করিম নিজে মাঝি হিসেবে ৮ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে গেলেও সালমানের মালিকানাধীন নৌকার মাঝি মোবারক, মো. ছৈয়দের মালিকানাধীন নৌকার মাঝি ছৈয়দ আলমসহ তিনটি ট্রলারের ১৮-২০ জন মাঝিমাল্লা গতকাল সোমবার সকাল থেকে আটকা রয়েছে মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশের হাতে।

একটি সূত্র মতে জানা গেছে, প্রতি ট্রলারে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। তা নিয়ে দেন-দরবারের কারণ ফিশিং ট্রলার সংশ্লিষ্টরা কেউ মুখ খুলছে না। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়নি।

এ বিষয়ে কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশনকে কেউ অবগত করনি বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়। তবে স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার নাইমের মোবাইল ফোনে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিজিবি টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন উপ-পরিচালক লে. এম মোহতাসিম বিল্লাহ শাকিল এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে বলে জানান।

এর আগেও চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে টেকনাফ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড চৌধুরী পাড়ার নুরুল বশর মিজ্জির ছেলে মো. রফিকের ফিশিং ট্রলারসহ আরো তিনটি ট্রলার আটকে রেখে জোরপূর্বক মাছ কেড়ে নিয়ে বিজিপি ছেড়ে দিয়েছিল একই পয়েন্ট থেকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ এখন তৈরি হচ্ছে দেশেই
পরবর্তী নিবন্ধঅস্ত্রে গুলি ঢোকানো দেখাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ, অতঃপর মৃত্যু