করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ এখন তৈরি হচ্ছে দেশেই

আজাদী অনলাইন | মঙ্গলবার , ৯ নভেম্বর, ২০২১ at ৪:১৪ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে অ্যান্টিভাইরাল ওরাল পিল বা মুখে খাওয়ার ওষুধ এখন পাওয়া যাচ্ছে দেশে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ও বেক্সিমকো ফার্মা এ ওষুধ বাজারে এনেছে যার জেনেরিক সংস্করণের নাম হবে ‘অ্যামোরিভির’।

আজ মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেক্সিমকো ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা।

তিনি বলেন, “মুখে খাওয়ার প্রতিটি ওষুধের বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৭০ টাকা। চিকিৎসকের পরামর্শে ১৮ বছরের বেশি বয়সী করোনা আক্রান্ত রোগীকে সংক্রমণ প্রতিরোধে খেতে হবে ৪০টি পিল বাজার মূল্যে যার খরচ পড়বে ২ হাজার ৮০০ টাকা।” বাংলানিউজ

এর আগে গতকাল সোমবার (৮ নভেম্বর) দেশে মলনুপিরাভির অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেটের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।

ওষুধের প্রাপ্তিস্থান প্রসঙ্গে রাব্বুর রেজা বলেন, “রাজধানী ঢাকার ১৫০টি ফার্মেসিতে গতকাল সোমবার আমরা এ ওষুধ পাঠিয়ে দিয়েছি। চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন বিভাগে আজ পাঠানো হবে। যে সব এলাকার মানুষ এখন বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে সেই সব এলাকায় এ ওষুধ পাঠানো হবে।”

এদিন সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, “মহামারীর শুরুতে আমাদের প্রথম জেনেরিক রেমডিসিভির উৎপাদনের পর এবার করোনার চিকিৎসায় বিশ্বের প্রথম ওরাল অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ মলনুপিরাভির-এর জেনেরিক সংস্করণ চালু করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসা সহজলভ্য করতে বেক্সিমকো ফার্মার দ্রুত সাড়া দেওয়ার সামর্থ্যের আরেকটি উদাহরণ এটি।”

তিনি আরও বলেন, “এটি আমাদের কোম্পানির জন্য একটি বড় অর্জন। আমরা বিশ্বাস করি, মহামারী মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে যেখানে ভ্যাকসিন সরবরাহ সীমিত।”

মলনুপিরাভির প্রস্তত্তকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, বাজারে বর্তমানে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোর মূল কাজ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করা, ভাইরাসকে অকার্যকর করা নয়। এক্ষেত্রে মলনুপিরাভিরই বিশ্বে প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র ওষুধ যেটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে পাশাপাশি ভাইরাসের প্রজনন ক্ষমতা অকার্যকর করতে সক্ষম।”

এ পর্যন্ত তিনটি মেডিক্যাল ট্রায়াল পার করেছে মলনুপিরাভির। প্রতিটি ট্রায়ালেই রোগীদের শারীরিক অবস্থার লক্ষ্যণীয় উন্নতি দেখা গেছে বলে জানা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহার ১১ বছর কারাদণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধমিয়ানমার বর্ডার গার্ডের কাছে আটক বাংলাদেশী তিনটি ট্রলার!