মাহে রমজানের সওগাত

মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী | সোমবার , ১০ মে, ২০২১ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

যাকাত সকল মানুষের ওপর কর্তব্য নয়। কিন্তু ফিত্‌রা সকল মুসলমান নর-নারীর ওপর কর্তব্য। ফিত্‌রা হচ্ছে রোজার যাকাত। যাকাত যেমন মালকে পবিত্র করে ফিতরা তেমনিই রোজাকে পবিত্র করে। রোজার ত্রুটি বিচ্যুতির ক্ষতিপূরণ করে ফিত্‌রা। রোজা কবুলের কারণ হয়।
মহিলাদের শুধু নিজের ফিতরা দেয়া ওয়াজিব। পুরুষের ক্ষেত্রে নিজের ফিতরাও দিতে হবে এবং নিজের নাবালেগ ছেলে-মেয়ের ফিতরা দেয়া পিতার ওপর ওয়াজিব। আর বালেগ হলে এবং এক পরিবারভুক্ত হলে তাদের ফিতরা, স্ত্রীর ফিতরা এবং নির্ভরশীল বাপ মায়ের ফিতরা দেয়া মোস্তাহাব। রোজাদার বেরোজাদার সকলের ওপর ফিতরা ওয়াজিব। নাবালেগ সন্তান যদি সম্পদের অধিকারী হয় তবে তার সম্পদ থেকে ফিতরা দিতে হবে। পিতার কোন বালেগ সন্তান পাগল হলে তার ফিতরা দেয়া পিতার ওপর ওয়াজিব। এতিম সন্তান যদি সম্পদশালী হয়, তবে তাকেও ফিতরা দিতে হবে। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ঋণ বাদে যদি ফিতরা দানের উপযুক্ত হয় তবে ফিতরা দিবে, নতুবা নয়।
ফিতরা কাকে দিতে হবে এবং কাকে দেওয়া যাবে না সে সম্পর্কে জানা থাকা একান্ত প্রয়োজন। ফিতরা দিতে হবে দরিদ্র দুঃস্থ, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশিকে এবং আশ-পাশের গরীব দুঃখীদেরকে। ছৈয়দ (নবী পাক (দঃ) এর বংশধর), সম্পদশালী এবং সম্পদশালী ব্যক্তির নাবালেগ সন্তানকে ফিত্‌রা দেওয়া যাবে না। নিজের মা, বাবা, দাদা, দাদী, নানা, নানী কিংবা নিজের ছেলে মেয়ে, নাতি, নাতনি এদেরকে ফিতরা এবং যাকাত দেয়া যাবে না। মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন কিংবা তারাবিহ নামাজের ইমাম দরিদ্র হলে তাদের ফিত্‌রা দেয়া যাবে। কিন্তু বেতন হিসাবে নয়। যাদেরকে যাকাত দেওয়া যায়, তাদেরকে ফিত্‌রাও দেয়া যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আরও ৮ মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধতবুও শহর ছাড়ছে মানুষ