ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে শেয়ার বিক্রি, চেক প্রতারণা

অবশেষে গ্রেপ্তার ১৫ মামলার আসামি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৪ মে, ২০২২ at ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

নিজের কোনো কোম্পানী নেই, তারপরও তিনি ট্রিম ইন্ড্রাস্টিজ নামে একটি কথিত গার্মেন্টস এক্সোসরিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। আবার কথিত এই কোম্পানির শেয়ারের টাকার লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ব্যাংকের চেকও প্রদান করেছেন অসংখ্যজনের কাছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে দেখেন তার দেওয়া চেকের বিপরীতে অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। এভাবে তিনি বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। আর এই প্রতারণার কারণে মামলা হয়েছে ১৫টি। হয়েছে সাজাও। অবশেষে র‌্যাব দপ্তরে একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতারক মোহাম্মদ আব্দুল হককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গত রোববার রাতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের প্রধান ফটকের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম ও অন্যান্য কার্ড, বিদেশি ডানহিল সিগারেট, চেক বই, আইপ্যাড ট্যাব, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হাতঘড়ি, আইফোন ও এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার আব্দুল হক হালিশহর থানার মজিবুল হকের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, আবদুল হক ট্রিম ইন্ড্রাস্টিজ নামে ছোট একটি গার্মেন্টস এঙোসরিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে বলে দাবি করেছেন। তবে এ নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের হদিস পাওয়া যায়নি।

গতকাল সোমবার র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার জানান, অভিযুক্ত প্রতারক আব্দুল হক বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে তার কোম্পানিতে চাকরি এবং শেয়ার দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। তাকে যেন ভুক্তভোগী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহজে খুঁজে না পায় সেজন্য তিনি হালিশহরের নিজ বাড়িতে অবস্থান না করে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও বন্ধুদের বাসায় অবস্থান করতেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় ঢাকার গুলশান ও বনানী এলাকায় অভিজাত হোটেল ও বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করতেন। এছাড়া তিনি একাধিক মোবাইলে ঘন ঘন সিম পরিবর্তন করে ব্যবহার করতেন যাতে তার সঙ্গে কেউ সহজে যোগাযোগ করতে না পারে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আব্দুল হক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রতারণা করে কোটি টাকা আত্মসাত করেছে বলে স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভুক্তভোগীরা ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ১৫টি চেক জাল-জালিয়াতির মামলা করেছেন। যার মধ্যে আসামির বিরুদ্ধে ৯টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে তাকে সাজা ও অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি মামলাগুলো বিচারাধীন রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশে জ্বালানি তেল বেচতে চায় রাশিয়া
পরবর্তী নিবন্ধপাসপোর্ট করতে এসে আটক রোহিঙ্গা তরুণী