বিক্ষোভ সমাবেশ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত

বললেন মীর নাছির

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৩ আগস্ট, ২০২২ at ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নগর বিএনপি। বিষয়টিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির ১০ নম্বর বিপদ সংকেত বলে দাবি করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, গতকাল ঢাকায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির সমাবেশ ছিল ৭ নম্বর বিপদ সংকেত। আজকের সমাবেশ ১০ নম্বর বিপদ সংকেত। আওয়ামী লীগের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। জনরোষের মুখে তাদের পতন হবে।
গতকাল শুক্রবার বিকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। এতে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন। সমাবেশে ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগ দেন।
মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, পৃথিবীর কোথাও এক লাফে এত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির নজির নেই। কুইক রেন্টালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে সরকার ভর্তুকি দিয়ে দেশের রিজার্ভ খেয়ে ফেলেছে। দেশটাকে আওয়ামী লীগ দেউলিয়া করে দিয়েছে। তিনি বলেন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী গত ৭ বছরে দেশ থেকে ২৭০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব আছে ২৩৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলার। বাকি ৩০ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার কোথায় গেল? জাতি এটা জানতে চায়। এটা একটা বিরাট শুভংকরের ফাঁকি, বিরাট ডাকাতি, বিরাট লুটের একটা চিত্র।
মীর মোহাম্মদ নাছির বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সরকার নয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সরকার। বাহিনীর আশ্রয়ে তারা টিকে আছে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তাদেরকে রাস্তায় নামতে দেবে না। রাস্তায় নামলে জনগণ তাদের লাঠিপেটা করবে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জ্বালানি সংকট, অর্থনৈতিক সংকট, বিদ্যুতের লোডশেডিং, বিদ্যুতের সংকট সবকিছুর মূলে এই সরকারের দুর্নীতি। লুটপাট ও চুরি করে সরকার দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার টিকেই আছে মানুষকে প্রতারণা করে। আজকে বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী এই আওয়ামী লীগ সরকার। এর জবাব তাদের দিতে হবে।
এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও বিপিসি দাম না কমিয়ে পাঁচ বছর ধরে লাভ করেছে। আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এমনিতেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। বাজারে গিয়ে আলু চাল কিনতে পারছে না। আর তখনি জ্বালানি তেলের দাম আরও বাড়িয়ে দেওয়া অমানবিক ও নিষ্ঠুরতা। সরকার জেনেশুনে দেশকে ধ্বংস করেছে। সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মো. শাহ আলম মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহিলা দলরে মনোয়ারা বেগম মনি, জেলি চৌধুরী, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহীন, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, কৃষক দলের আহবায়ক মো. আলমগীর, মৎসজীবী দলের আহবায়ক হাজী নরুল হক, তাঁতী দলের আহবায়ক মনিরুজ্জমান টিটু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৫ দিনেও প্রতিবেদন জমা দেয়নি দুই তদন্ত কমিটি
পরবর্তী নিবন্ধদুদিনব্যাপী ‘সেপ ভারতীয় শিক্ষা মেলা’ শুরু আজ