বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মাঠে মারা গেছে : তথ্যমন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৮ জুন, ২০২৩ at ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এখন মাঠে মারা গেছে। শুধু মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তাদের নেতাদের মুখে আছে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আন্তর্জাতিক মহলের হাতে পায়ে ধরে বিভিন্ন সময়ে তুলে ধরেছে। কিন্তু কোনো দেশ তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সমর্থন করে নাই এবং সরকারকেও কেউ বলেনি যে নির্বাচনকালীন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার করতে হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর শরৎকালীন সেমিস্টার২০২৩ এ ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইআইইউসির সীতাকুণ্ডের কুমিরাস্থ ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জামালপুরে সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। এসময় তিনি বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। এই ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত মূল আসামিসহ অনেককেই দ্রুততার সাথে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যাতে হয় সেজন্য যা কিছু করা দরকার সবকিছুই করা হবে। এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া যেনতেনভাবে কোনো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না এবং রাজপথে থেকে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে’ মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের আয়োজক হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত হোক, সেটিই আমরা চাই। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন কমিশনের কাছে, বিদেশিদের হাতেপায়ে ধরে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায়। তিনি বলেন, বিএনপিকে তো নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং বিদেশিরাও দিতে পারবে না। তারা আসলে নির্বাচনকে ভয় পায়। আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, এ সমস্ত বকবকানি না করে তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যে মাঠে মারা গেছে, সেই বাস্তবতা মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য।

চট্টগ্রামের জামালখানে দেয়ালচিত্র ভাঙচুরের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশের কথা বলে যেভাবে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ আমাদের ইতিহাসঐতিহ্য, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনসহ আমাদের মুক্তি আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের ছবি এবং ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে, এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশ করে তরুণদেরকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য শিক্ষা দিচ্ছে। তারুণ্যের সমাবেশের নাম করে পেটুয়া বাহিনী ও নৈরাজ্য শিক্ষার সমাবেশ করেছে তারা। তা না হলে সমাবেশে যাবার পথে আমাদের ইতিহাসঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা বঙ্গবন্ধুসহ সেখানে থাকা অনেক মনিষীর ম্যুরাল ভাঙচুর করার কোনো যুক্তি নাই। বিএনপি নেতারা আসলে সারাদেশে সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটাচ্ছে এবং নতুনভাবে নৈরাজ্য করার জন্য তাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআঞ্চলিক রেলপথ সংস্কারেই বাড়বে নগরীর বাসযোগ্যতা
পরবর্তী নিবন্ধসাফল্যের জন্য স্বপ্নের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে প্রচেষ্টা