বন্দী পলায়ন : গাফেলতি খুঁজছে তদন্ত টিম

| বৃহস্পতিবার , ১১ মার্চ, ২০২১ at ৭:০৯ পূর্বাহ্ণ

আজাদী প্রতিবেদন ম চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দী রুবেলের পলায়নের ঘটনায় কার কী গাফেলতি ছিল তা খুঁজছে কারা অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত টিম। এছাড়া কারাগারকে আরো সুরক্ষিত কিভাবে রাখা যায় সেটি নিয়েও কাজ করছেন তারা। গতকাল বুধবার বিকালের আজাদীর সাথে আলাপকালে এসব কথা জানিয়েছেন তদন্ত টিমের প্রধান খুলনা বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) মো. ছগির মিয়া। তিনি বলেন, রুবেল নামের ওই বন্দী কারাগার থেকে বের হতে পরিকল্পনা করেছিলেন। এতে তিনি সফলও হন।
কিভাবে এটি হলো? কারাগার তো সুরক্ষার জায়গা, কারো না কারো গাফেলতি তো ছিলই! রুবেলকে তো খুঁজে বের করা হয়েছে। তার সাথে কথা বলেছি। এখন দেখছি, কর্ণফুলী ভবন থেকে নিচে নেমে তিনি নির্মাণাধীন আরেকটি ভবনে কারও সহযোগিতায় গিয়েছিলেন কিনা।
ছগির মিয়া বলেন, বুধবার সকালে কারাগারে গিয়েছি। তিনি এখন ১০ নম্বর সেলে রয়েছেন। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাঁটতে পারছেন না, পায়ে জখম আছে। এমনকি তার মুখ মন্ডলও ফুলে গেছে। ৬০ ফুট উঁচু থেকে লাফ দেওয়াতে তার এ অবস্থা। তবে যতটুকু বুঝলাম তার মনোবল অটুট আছে। শারীরিকভাবে তিনি সবল একজন যুবক।
ডিআইজি প্রিজন বলেন, বৃহস্পতিবারও (আজ) কারাগারে যাব। তার সাথে আরও কথা বলব। আরও কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করব। তারপর আপনাদের কাছে তদন্ত কার্যক্রম সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য তুলে ধরব। গত মঙ্গলবার ভোরে পালানোর তিনদিন পর নরসিংদী জেলার আদিয়াবাদ শেরপুর কান্দাপাড়া চরাঞ্চল এলাকায় ফুফুর বাসা থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এরপর সড়কযোগে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে সন্ধা সাড়ে ৬টায় তাকে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে সংবাদ সম্মেলন শেষে মহানগর হাকিম হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে তাকে হাজির করা হয়। একপর্যায়ে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআরো ২ লাখ ৬০ হাজার ডোজ টিকার চাহিদাপত্র
পরবর্তী নিবন্ধঅবশিষ্ট ৪০ গভীর নলকূপও বন্ধ করছে ওয়াসা