অবশিষ্ট ৪০ গভীর নলকূপও বন্ধ করছে ওয়াসা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১১ মার্চ, ২০২১ at ৭:০৯ পূর্বাহ্ণ

চলতি মাসে (মার্চে) রাঙ্গুনিয়া শেখ হাসিনা শোধনাগার দ্বিতীয় প্রকল্প উৎপাদনে আসছে। ফলে নগরীর সকল গভীর নলকূপ বন্ধ করে দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ.কে.এম. ফজলুল্লাহ। তিনি জানান, চট্টগ্রাম ওয়াসার ৯৬টি গভীর নলকূপের মধ্যে বর্তমানে ৪০টি চালু আছে। ৫৬টি আগেই বন্ধ করা হয়েছে। এখন চট্টগ্রামে পানির চাহিদা দৈনিক ৫০ কোটি লিটার। এর মধ্যে ওয়াসা উৎপাদন করছে ৩৬ কোটি লিটার পানি। শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রথম প্রকল্পের পর এখন দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পের দৈনিক ১৪ কোটি লিটার পানি গুণগত মান পরীক্ষা (প্রকল্পের ট্রায়াল রান চলছে) করা হচ্ছে। শীঘ্রই এই প্রকল্পের পানি পাইপ লাইনে যুক্ত হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে চলতি মাসে আমরা নগরীতে প্রতিদিন ৫০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে পারব। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর এটি সেরা উপহার।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ মদুনাঘাট শেখ রাসেল পানি শোধনাগার প্রকল্পের পানি নগরীতে সরবরাহ করছে। এই প্রকল্প থেকে প্রতিদিন ৯ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের অর্ধেক পানি নগরীর সর্ব দক্ষিণ প্রান্তে সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছে ওয়াসা। এজন্য পতেঙ্গা বুস্টিং পাম্প স্টেশনের উদ্বোধন করা করা হয়েছে। এই পাম্প হাউজের মাধ্যমে পাম্পিং করে মদুনাঘাট শেখ রাসেল পানি সরবরাহ প্রকল্পের উৎপাদিত দৈনিক সাড়ে ৪ কোটি লিটার পানি ইপিজেড-বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে এখনো পুরোপুরি পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না বলে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। পুরনো লাইনের কারণে ফুল প্রেসার দিয়ে পানি সরবরাহ করা হলে পাইপ ফেটে যাচ্ছে। এই কারণে আস্তে আস্তে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম।
দীর্ঘদিন ধরে নগরীর পানির চাহিদা মেটানোর জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসা গভীর নলকূপের উপর নির্ভরশীল ছিল। প্রতিদিন ৯৬টি গভীর নলকূপ থেকে পানি উৎপাদন করতো। এখন শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রথম প্রকল্প থেকে প্রতিদিন ১৪ কোটি লিটার, মদুনাঘাট পানি শোধনাগার থেকে প্রতিদিন ৯ কোটি লিটার এবং শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার দ্বিতীয় প্রকল্প থেকে প্রতিদিন ১৪ কোটি লিটার পানি উৎপাদন হওয়াতে গভীর নলকূপের পানির আর প্রয়োজন পড়ছে না। এই কারণে বাধ্য হয়ে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ গভীর নলকূপগুলো বন্ধ করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্দী পলায়ন : গাফেলতি খুঁজছে তদন্ত টিম
পরবর্তী নিবন্ধঅবশিষ্ট ৪০ গভীর নলকূপও বন্ধ করছে ওয়াসা