ফ্লাইওভারে ছিনতাই দুর্ঘটনা রোধে ১৫ সুপারিশ

গোলটেবিল বৈঠকে দুর্ঘটনার ৯ কারণও চিহ্নিত

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৯ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

নগরের ফ্লাইওভারগুলোতে ছিনতাই ও দুর্ঘটনা রোধে সিসি ক্যামেরা ও রিফ্লেক্টর স্থাপনসহ ১৫টি সুপারিশ করা হয়েছে। ‘নগরীর ফ্লাইওভার ও নাগরিক নিরাপত্তা শীর্ষক’ এক গোলটেবিল বৈঠক থেকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনায় জন্য উল্টো পথে চলাসহ ৯টি কারণ তুলে ধরা হয়। বৈঠকে বলা হয়, সিসি ক্যামেরা ও রিফ্লেক্টর স্থাপনের মাধ্যমে বেপরোয়া ওভারটেকিং বন্ধ হবে। ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত অপরাধী শনাক্ত ও বিচারের আওতায় আনা সহজ হবে।

দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশগুলো : দুর্ঘটনা রোধে অন্য সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে, যথাযথ সড়ক লেইন মানতে চালকদের উদ্বুদ্ধ করা, যানবাহনের বেপরোয়া ওভারটেকিং বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ, যানবাহনের গতিসীমা বিশিষ্ট সাইন স্থাপন ও রোড মার্ক করা, স্বল্পগতির যানবাহনকে ফ্লাইওভার ব্যবহার করতে না দেয়া, বেপরোয়া মোটরবাইক চালকদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ, ফ্লাইওভারে রিফ্লেক্টর স্থাপন, ডিভাইডারের স্থানচ্যুতি (আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের বায়েজিদ লুপে) ঠিক করা, ফ্লাইওভারে পায়ে হাঁটা ও আড্ডা দেয়া বন্ধ করা এবং ট্রাফিক আইনের কঠোর বাস্তবায়ন করা। ছিনতাই রোধে সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে, আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের জিইসি-দুই নম্বর গেট অংশের জয়েন্টের ফাঁকা অংশ গ্রিল দিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা করা, সিসিটিভি স্থাপন, পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা, মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং ফ্লাইওভারে পায়ে হাঁটা ও যানবাহন দাড় করিয়ে আড্ডা দেয়া বন্ধ করা।

দুর্ঘটনার কারণ : মূল প্রবন্ধে ফ্লাইওভারের দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে বলা হয়, ফ্লাইওভারে যথাযথ সড়ক লেইন মেনে যানবাহন চলাচল না করা, যানবাহনের বেপরোয়া ওভারটেকিং, অতিরিক্ত গতিতে যান চলাচল, বিভিন্ন গতির যানবাহন ফ্লাইওভার ব্যবহার করা, মোটরবাইক চালকদের বেপরোয়াভাবে বাইক চালানো, ফ্লাইওভারে রিফ্লেক্টর না থাকা, ফ্লাইওভারে পায়ে হাঁটা ও যানবাহন দাঁড় করিয়ে আড্ডা দেয়া এবং ডিভাইডারের স্থানচ্যুতি।

প্রসঙ্গত, নগরে পাঁচটি ফ্লাইওভার রয়েছে। ফ্লাইওভারগুলো হচ্ছে এম এ মান্নান ফ্লাইওভার (বহদ্দারহাট), কদমতলী ফ্লাইওভার, দেওয়ানহাট ফ্লাইওভার, আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার (মুরাদপুর-লালখান বাজার) এবং বন্দর ফ্লাইওভার (চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব ফ্লাইওভার)।

মাল্টি-পার্টি এডভোকেসি ফোরামের উদ্যোগে ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় গতকাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের আর্ট গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। এমএএফের আহ্বায়ক প্রকৌশলী সনাতন চক্রবর্তী বিজয়ের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক নসরুল কদির, সিটি কর্পোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর, বন ও বস্তি বিষয়ক কর্মকর্তা মইনুল আলী চৌধুরী জয়, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য দেবদুলাল ভৌমিক, মো. সদরুল আমিন, লিটন চৌধুরী, ইকবাল বাহার সাবেরী, শারুদ এম নিজাম, সায়েদুল আরেফিন, জিকু চৌধুরী, বিদ্যুৎ কান্তি দে, মাহমুদুর রহমান মান্না, তাসরিফুল ইসলাম জিল্লু, মো. সাইফুল, মামুনুর রশিদ, ফারহানা জসিম, মো. রিয়াদ, তারেক রহমান, জিন্নাত সুলতানা ঝুমা, পারভিন ফারহানা রোজা, সুলতানা রহমান ও ইয়াসির আরাফাত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজাদী মালিকের ৪৮ লাখ টাকা আত্মসাতে কর্মচারী
পরবর্তী নিবন্ধদোকান থেকে সাড়ে ১৯ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পালাল দুই কর্মচারী