‘সাবানের ঠাণ্ডা গন্ধ, অবিরাম জল পড়ার শব্দ আর স্নান করতে করতে আমার মায়ের খোলা গলায় নিজের মনে গেয়ে যাওয়া রবীন্দ্র সংগীত, আমার কাছে রবীন্দ্রনাথ মানে এইস….ব। আমার কাছে রবীন্দ্রনাথ মানে পঁচিশে বৈশাখের আনন্দ উৎসব নয়, বাইশে শ্রাবণের ব্যথা নয়।
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি কিংবা বোলপুরের বিশ্বভারতী আমি কোথাও তাঁকে তেমন করে পাইনা যেমন পাই আমার মায়ের খোলা গলার গানে।
এইসব নিয়ে আমার রবীন্দ্রনাথ। আমার রবীন্দ্রনাথকে আমি এই ভাবেই মেঘলা আকাশে, বাদল বাতাসে, মা–র স্নানের শব্দে, সাবানের গন্ধে, বিকেলের মরে যাওয়া আলো অন্ধকারে বারবার পেতে চাই। বছরের পর বছর। প্রতি বছর। যত দিন যাবে। রচনা রবীন্দ্রনাথ’ –সুনেত্রা ঘটক
রবীন্দ্রনাথ সর্বজনীন ছিলেন। বাঙালির এমন কোনো অনুভূতি নেই, যেখানে তাঁকে স্মরণ না করে পারা যায়। তিনি জীবনের প্রতি অলিতে গলিতে মিশে গেছেন সেই কবেই। সুনেত্রা ঘটকের লেখাটা যখন পড়ছিলাম, ভাবছিলাম এটা প্রতি বাঙালি ঘরের নিত্যকার ঘটনা। মায়েদের প্রতিটা আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে ভীষণভাবে। এটাও তেমনই।
সে হিসেবে বলতে গেলে দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ আমাদের সাথেই আছেন, একদম নিত্যদিনের প্রতিটা খুঁটিনাটিতে। এজন্য পঁচিশে বৈশাখ আর বাইশে শ্রাবণের জন্য আলাদা করে বাঙালিকে অপেক্ষায় থাকতে হয় না। রবীন্দ্রনাথ সত্যিকার অর্থেই আমাদের প্রাণের ঠাকুর, নিত্যদিনের পূজায় বাঙালি যাঁকে দেবতার আসনে বসিয়েছেন।