প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ করা যাবে না

সিডিএ’র মাস্টার প্ল্যানে ‘স্ট্রেটেজিক ওপেন স্পেস’ হিসেবে সংরক্ষণ করার আহ্বান

| শুক্রবার , ১৬ জুলাই, ২০২১ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে হাসপাতাল ও বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করার দাবি জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলা শাখা গত ১৪ জুলাই বেলা ১১.০০ টায় সিআরবি সাতরাস্তার মোড়ে মানববন্ধন করে।
সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফরহাদ জামান জনির পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলা নেতা অ্যাডভোকেট ফাহিম শরীফ খান, শ্রমিক নেতা মির্জা আবুল বশরসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম নগরে দিনদিন খেলার মাঠ, উন্মুক্ত পার্ক, সাংস্কৃতিক চর্চা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের নামে গত ১০-১৫ বছরে শহরের অনেক খোলা মাঠ, পার্ক দখল করে বাণিজ্যিক ভবনসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। শহরের নাগরিকদের জন্য যে অল্প কয়েকটা পার্ক, মাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার জায়গা রয়েছে তার মধ্যে সিআরবি অন্যতম। এই সিআরবি কেবল বিনোদনের জায়গা নয়, নগরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে এই এলাকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে; সেই সাথে চট্টগ্রামের শত বছরের ঐতিহ্যও। এই গুরুত্ব বিবেচনা করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ( সিডিএ) তার মাস্টার প্ল্যানে এই সিআরবিকে ‘ নির্ধারিত স্ট্র্যাটেজিক ওপেন স্পেস’ ঘোষণা করে। কিন্তু আজ নগরের গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকাটাও হুমকির মুখে। রেলওয়ে অধিদপ্তর অত্র এলাকার প্রায় ৬ একর জায়গা পিপিপি চুক্তির অধীনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করেছে। এখানে তারা একটি বাণিজ্যিক হাসপাতালসহ নানা ধরণের স্থাপনা নির্মাণ করার তৎপরতা শুরু করেছে। এই এলাকায় হাসপাতাল ও বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ হলে সেটা পরিবেশের ওপর খুব ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে এবং জীববৈচিত্র্য ও শত বছরের ঐতিহ্যও পড়বে হুমকির মুখে।
বক্তারা বলেন, হাসপাতাল শহরের নাগরিকদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ; কিন্তু বিদ্যমান যে হাসপাতাল রয়েছে সেটিকে আধুনিকায়ন না করে সাধারণ জনগণের সর্বোচ্চ চিকিৎসা পাবার আয়োজন নিশ্চিত না করে আরো বাণিজ্যিক হাসপাতাল নির্মাণের মাধ্যমে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট কিছু মুনাফাভোগী ব্যবসায়ীর পক্ষ নিচ্ছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সরকার- রেল মন্ত্রণালয়কে এই প্রাণ প্রকৃতি বিধ্বংসী ও ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ধ্বংসের তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে সিডিএ’র ঘোষণা অনুযায়ী ‘স্ট্রেটেজিক ওপেন স্পেস’ হিসেবে অত্র এলাকায় কোনো ধরণের স্থাপনা নির্মাণ না করার আহ্বান জানান। সরকার চট্টগ্রামের জনগণের দাবি দ্রুত মেনে না নিলে গণসংহতি আন্দোলন জনগণকে সাথে নিয়ে সিআরবিসহ শহরের প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে বক্তারা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাউছিয়া আহমদিয়া এমদাদীয়া কালুরঘাটের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল
পরবর্তী নিবন্ধ‘জঙ্গি সংগঠন’ বলায় ইসকন ভক্তের মামলা