ঘরের বাইরের খোলা জায়গায় আনু আর রিয়ানা খেলা করছে। হঠাৎ রিয়ানার চোখ রঙিন ডানাওয়ালা একটা প্রজাপতির উপর পড়ল, সে জোরে চিৎকার করে বলল, দেখো, আনু প্রজাপতি!
ওরা পেছনে দৌড়ে গেল।
আরে! প্রজাপতি দাঁড়াও, আরে! থামো প্রজাপতি…
তুমি কি আমাদের সাথে খেলবে?
তোমার বাড়ি কোথায়?
তুমি কোথায় থাকো?
প্রজাপতির রঙিন ডানা তাদের আকর্ষণ করছে। দুজনেই প্রজাপতিকে ধরতে চায়। তাদের বন্ধু বানাতে চায়। কিছুক্ষণ পর দুজনেই দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত হয়ে বসে।
বসেই আনু বলল, দাদির কাছে যাবে?
হয়তো দাদি আমাদের প্রজাপতি ধরতে কিছু সাহায্য করতে পারেন।
রিয়ানা বলল, হ্যাঁ, আনু চলো।
এই বলে দুজনেই দাদির কাছে যায়।
দাদি আমরা প্রজাপতি চাই… দাদি আমরা প্রজাপতি চাই…
আমরা তাকে কিভাবে ধরব? প্রজাপতি কোথায় থাকে, দাদি? প্রজাপতির বাড়ি কোথায়? সে কি খায়?
দাদি দুজনের সমস্যা শুনে হেসে বললেন, প্রজাপতি খুব চালাক। তাকে ধরে কী করবে?
আনু বলল, দাদি, আমি ওকে একটা বয়ামে রাখব তারপর দেখব কিভাবে সে উড়ে যায়। আর রিয়ানা বলল, আমি কি ওর সাথে খেলবো? আমি তাকে আমার বন্ধু বানাবো।
সব শোনার পর দাদি দুজনকে বুঝিয়ে বললেন, প্রজাপতির বাড়ি বাগানে, সে একই বাগানে থাকে, সে ফুলের রস পান করে। তাকে ধরলে সে তার ঘরে ফিরে যাবে কী করে? সে তার পরিবার আর তার বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। প্রজাপতি ধরা উচিত নয়, আমাদের মতোন প্রজাপতিরও জীবন বাঁচাতে হয়।
দাদির কথা আনু আর রিয়ানা বুঝতে পারল। এখন আর প্রজাপতি ধরতে চাইল না।