পিতামাতার দুর্দিন : আইনের প্রয়োগ

| শুক্রবার , ৫ আগস্ট, ২০২২ at ৭:১০ পূর্বাহ্ণ

উপার্জনকারী সন্তান থাকার পরও অনেক বৃদ্ধ পিতা মাতার ঠিকানা হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম। প্রতিটি সন্তানের গর্ব ও অহংকার পিতামাতা। ৯/১০ মাস গর্ভধারণ করে যে মা সন্তানকে আলোর মুখ দেখান এবং যে পিতা দিনের পর দিন কায়িক পরিশ্রম করে সন্তানকে লালন পালন করেন, লেখাপড়া শিখিয়ে সমাজে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলেন, এক সময় সেই সন্তানই পিতামাতার দুর্দিনে তাদেরকে অনাদর অবহেলায় বাসায় ফেলে রাখেন, কেউ কেউ পিতা-মাতার ওপর বিরক্ত হয়ে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেন।

পিতা-মাতার বার্ধক্যে তাদের ভরণ পোষণ দেখাশোনা না করার মতো শারীরিক শক্তি নেই, নেই সহায়-সম্বল, এই তিনটির অভাব যাদের আছে, তাদের জন্যই যেন হয় বৃদ্ধাশ্রম। যাদের সহায়-সম্বল আছে এবং আছে উপার্জন করার মতো সন্তান, তেমন পিতা মাতাকে সন্তানই বাধ্যতামূলক ভরণ পোষণ দেবে এবং দেখাশুনা করবে সে বিষয়ে বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা উচিত।

এম. এ. গফুর,
বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়, কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিকান্দার আবু জাফর: বাঙালি জাতীয়তাবাদের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক
পরবর্তী নিবন্ধএগিয়ে যাব সৃষ্টির উল্লাসে