পাঁচ দোকান ও ৫৭ বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই

মীরসরাই-সীতাকুণ্ড-চন্দনাইশ

| রবিবার , ৬ মার্চ, ২০২২ at ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের মীরসরাই, সীতাকুণ্ড ও চন্দনাইশ উপজেলায় পৃথক অগ্নিকাণ্ডে ৫টি দোকান ও ৫৭টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মীরসরাই প্রতিনিধি জানান, জোরারগঞ্জ থানাধীন মস্তান নগরের ভোরের বাজারে এক দোকানের রুটি তৈরির মেশিন থেকে সৃষ্ট আগুনে ২টি চায়ের দোকান এবং ৩টি মুদি দোকানসহ মোট ৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার সময় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চা দোকানি মো. খোকনের দোকানে রুটি তৈরির জন্য মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মফিজুর রহমানের মুদি দোকান, আমজাদের মুদি দোকান, নুরুল হুদার মুদি দোকান ও হোরা মিয়ার চা দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে মীরসরাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, ঘটনায় প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মীরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের সাব স্টেশন অফিসার আবদু মান্নান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারি, স্থানীয় চা দোকানি খোকনের রুটি তৈরির মেশিন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। এই ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি জানান, উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল কেশবপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৫১টি ভাড়াঘর ভস্মীভূত হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কদমরসুল কেশবপুর এলাকার চৌধুরী কলোনির একটি ভাড়া ঘরে থাকা গ্যাসের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলে মুহূর্তেই তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২ ঘণ্টার চেষ্টায় বিকাল ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এর আগেই ৫১টি ভাড়া ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় অন্তত ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, বিকেলে কলোনির একটি পরিবারের রান্না ঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ায় আরো শতাধিক ঘর রক্ষা পেয়েছে।
এদিকে চন্দনাইশ প্রতিনিধি জানান, রান্নার চুলা থেকে সৃষ্ট আগুনে ছয়টি বসতঘর পুড়ে গেছে। এ সময় এক ৩টি ছাগল মারা যায়। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বরমা মাইগাতা নিমখালী দয়াল দের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় সুমন দে, সুজন দে, লিটন দে, ছোটন দে, রঞ্জিত দে ও অঞ্জলি দের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে চন্দনাইশ দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় সুমন দের নগদ ২ লাখ টাকা পুড়ে যায়। সব মিলিয়ে মোট ক্ষতির পরিমাণ ১৫ লক্ষাধিক টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।
চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মো. শাহ আলম খান জানান, ধারণা করা হচ্ছে রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
খবর পেয়ে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম ঘটনাস্থলে যান এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ১০ কেজি করে চাউল ও ২টি করে কম্বল বিতরণ করেন। পরবর্তীতে সরকারিভাবে আরো সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশে দিনে শনাক্ত এ বছরের সর্বনিম্ন
পরবর্তী নিবন্ধভোজ্য তেলের দাম কিছুটা না বাড়ালে আমদানি কমে যাবে : কৃষিমন্ত্রী