পবিত্র রমজান শুরু

মসজিদে মসজিদে তারাবির নামাজ আদায়

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৪ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। মুসলিম উম্মাহর কাছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের অমিয় বার্তা নিয়ে শুভাগমন করলো রমজান। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশের আকাশে হিজরি ১৪৪৪ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ শুক্রবার প্রথম রোজা পালন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এর আগে গত রাতে এশার নামাজের পর পবিত্র তারাবির নামাজ আদায় এবং ভোররাতে সেহেরি খেয়েছেন তারা। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল পৃথক বাণী প্রদান করেন।

 

ইসলামের সূচনাকাল থেকেই রমজান নিয়ে উচ্ছ্বাস রয়েছে মুসলমানদের মধ্যে। কারণ ইসলামের পাঁচ ভিত্তির অন্যতম হলো মাহে রমজানের রোজা পালন করা। মুসলমানদের আকাঙ্ক্ষিত মাস রমজান। পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল এ মাসে। সূর্যোদয়ের আগে থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার থেকে

বিরত থাকেন রোজাদাররা। সুবহে সাদিকের (রাতের শেষ ভাগ) আগে সেহেরি খেয়ে সূর্যাস্তের সময় ইফতার করবেন তারা। এসময় রোজাদাররা পান বিমল আনন্দ।

দীর্ঘ এগারো মাসের পাপ পঙ্কিল থেকে মুক্ত হওয়ার অপূর্ব সুযোগ এনে দেয় এই রমজান। পবিত্র রমজানের আগমনে মুসলিম সমাজ ও ইসলামী জীবন ধারায় এক বিরাট সাফল্যের সৃষ্টি হয়। রমজান মাস হলো ইবাদতের বসন্তকাল। আল্লাহ পাক ইবাদতপাগল বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য সব আয়োজন করে রাখেন। এ

মাসে একটি ফরজ আমলের মূল্য অন্য সময় ৭০টি ফরজ আমলের সমপরিমাণ। গতকাল বাদে মাগরিব বা সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) আয়োজিত এ সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সভাপতিত্ব করেন। সভা

শেষে প্রতিমন্ত্রী আজ (শুক্রবার) থেকে রোজা পালনের আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

এদিকে গতবারের ন্যায় এবারও পবিত্র রমজান মাসে দেশের সকল মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করে খতম তারাবি পড়ানোর জন্য ইফার পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইফার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম ছয় দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং পরের ২১ দিনে এক পারা করে ২১ পারা কোরআন খতমের পরামর্শ দিয়েছে। এতে পবিত্র শবে কদরের রাতের তারাবিতে কোরআন খতম সম্ভব হবে। এ নিয়ম অনুসরণ করার জন্য সারাদেশের সকল মসজিদের খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ইফা। এ পদ্ধতি অনুসরণ করলে রমজানে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী মুসলিমদের কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে মনে করে ইফা।

এদিকে রমজানে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এবং কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে এ জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করবে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডিসি ও ইউএনওদের সরকারের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সে নির্দেশনার প্রেক্ষিতে গতকালও নগরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআলোকিত জীবন গড়ার অবারিত সুযোগ
পরবর্তী নিবন্ধ২৫ মার্চ রাতে সারা দেশে ১ মিনিট ‘ব্ল্যাক আউট’