পদবী ও গ্রেড উন্নয়নের দাবিতে অনড় তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা

কর্মবিরতিতে প্রশাসনিক সেবা কার্যক্রমে বিঘ্ন, ভোগান্তি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৭ নভেম্বর, ২০২০ at ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদবী ও গ্রেড উন্নয়নের দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি পালনে প্রশাসনিক সেবা কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি সেবা নিতে আসা লোকজন ভোগান্তিতে পড়ছেন। গত রোববার থেকে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারীদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির (বাকাসস) চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সোমবারও যথারীতি জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও ভূমি অফিসগুলোতে কর্মচারীরা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ মঞ্চ ও মাইক টাঙিয়ে সেখানে অবস্থান করতে দেখা যায় আন্দোলনরত কর্মচারীদের। কার্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে সংগঠনটির দাবি সম্বলিত বিভিন্ন পোস্টার ও ব্যানার টাঙানো ছিল। প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরের অভ্যন্তরে কর্মচারীদের পাশাপাশি সেবা প্রার্থীদের উপস্থিতিও স্বাভাবিক দিনের চেয়ে তুলনামূলক কম ছিল। একই কর্মসূচী উপজেলা নির্বাহী অফিসগুলোতেও পালন করা হয়েছে বলে সংগঠনটি জানিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মবিরতির কারণে সকালে সেবা নিতে আসা অনেকেই কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে ফিরে গেছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সেবা প্রার্থীদের। সংগঠনটির চট্টগ্রামের সিনিয়র সহ সভাপতি আজাদীকে বলেন, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভূমি অফিসে কর্মরত ১১ থেকে ১৬ গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা প্রশাসনিক ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সহযোগী হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মাঠ প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের পর বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদের পদবি ও গ্রেড উন্নীত করা হলেও একই শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলোর ১১ থেকে ১৬ গ্রেডের কর্মচারীদের পদবি ও বেতন গ্রেড উন্নয়নের দীর্ঘদিনের দাবি আদৌ বাস্তবায়ন হয়নি। এটা একটা বৈষম্যমূলক আচরণ। তাই কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাবি আদায়ের কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। বিশ বছর ধরে দাবি বাস্তবায়নে তারা আন্দোলন করে আসছে বলে জানান তিনি। ২০১৮ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি যৌক্তিক সমর্থন দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও এখনো দাবি-দাওয়ার বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হয়নি। সংগঠনটি পরবর্তী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আগামী ২২ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত আরো এক দফা পাঁচদিনের কর্মবিরতি পালন, ২৯ ও ৩০ নভেম্বর কার্যালয়ের চত্বরে অবস্থান। এছাড়া ৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ পালনসহ সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণার কথা রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের বিক্ষোভ মিছিল
পরবর্তী নিবন্ধচুনতী সীরাতুন্নবী (সা.) মাহফিল সম্পন্ন